পাতা:মহানির্ব্বাণ-তন্ত্রম্‌ (শ্যামাচরণ কবিরত্ন).pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয়োল্লাসঃ । ©ፃ ততো জপ্ত, মহামন্ত্ৰং মনসা সাধকোত্তমঃ । সমপ্য ব্ৰহ্মণে পশ্চাদ্বহিঃ পূজাং সমারভেৎ ৫৩ উপস্থিতানি দ্রব্যাণি গন্ধপুষ্পাদিকানি চ । বস্ত্রীলঙ্করণদীনি ভক্ষ্যপেয়ানি যানি চ || ৫৪ মস্ত্রেণানেন সংশোধ্য ধ্যাত্ব ব্রহ্ম সনাতনম । নিৰ্মলৈ নেত্রে মতিমানপয়েৎ পরমাত্মনে ॥ ৫৫ ব্ৰহ্মাপণং ব্রহ্ম হবিব্রহ্মাগ্নেী ব্রহ্মণ হুতম । ব্রহ্মৈব তেন গন্তব্যং ব্রহ্মকৰ্ম্ম-সমাধিন ॥ ৫৬ ততো নেত্রে সমুন্মীলা জপ্ত, মূলং স্বশক্তিতঃ। তজপং ব্রহ্মসাৎ কৃত্বা স্তোত্রঞ্চ কবচং পঠেৎ । ৫৭ অনস্তর সাধকশ্রেষ্ঠ, মানস দ্বারা পূৰ্ব্বোক্ত ( ও সচ্চিদেকং ব্রহ্ম ) মহামন্ত্র জপ করিয়া ব্রহ্মে জপ সমর্পণপূর্বক বাহ পূজা আরম্ভ করিবে । গন্ধ-পুষ্পাদি, বস্ত্রীলঙ্কারাদি এবং ভক্ষ্যপেয়াদি যে সকল দ্রব্য উপস্থিত থাকিবে, সেই সকল দ্রব্য এই মন্ত্র দ্বার সংশোধন করিয়া নেত্রদ্বয় নিমীলনপূর্বক মতিমান ব্যক্তি সনাতন ব্রহ্মকে ধ্যান করত সেই পরমাত্মাকে সমর্পণ করিবে । সংশোধন এবং অপণের এই মন্ত্ৰ— অর্পণ অর্থাৎ যজ্ঞপাত্র ব্রহ্ম। হবি; অর্থাৎ হবনীয় দ্রব্য (যাহ অর্পণ করিতে হইবে ) তাহী ও ব্রহ্ম । যিনি আহুতি প্রদানকারী অর্থাৎ অৰ্পণ করিতেছেন, তিনিও ব্রহ্ম। এইরূপে যিনি ব্রহ্মে চিত্ত একাগ্ররূপে স্থাপন করেন, তিনিই ব্রহ্মকে প্রাপ্ত হন। মনস্তর যথাশক্তি মূলমন্ত্র জপ করিয়া নেত্রদ্বয় উন্মীলনপূর্বক “ব্রহ্মাপণমস্ত” এই মন্ত্র উচ্চারণ করিয়া, ব্রহ্মে জপ সমৰ্পণ করিয়া, স্তব ও কবচ পাঠ করিবে । হে মহেশানি ! হে দেবি ! পরমায়া ব্রহ্মের স্তব শ্রবণ কর। বাহা শ্রবণ করিলে সাধক ব্ৰহ্মলাযুজ্য প্রাপ্ত হন । 8