পাতা:মহানির্ব্বাণ-তন্ত্রম্‌ (শ্যামাচরণ কবিরত্ন).pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্ৰম্। ס שS চতুভূজা ত্বং দ্বিভূজা ষড়ভুজাষ্টভুজা তথা । ত্বমেব বিশ্বরক্ষার্থং নানাশস্ত্রাস্ত্রধারিণী ॥ ১৭ তত্তব্ধপবিভেদেন মন্ত্রযন্ত্রাদিসাধনম্। কথিতং সৰ্ব্বতন্ত্ৰেষু ভাবাশ কথিতাস্ত্রয় ॥১৮ পশুভাব কলেী নাস্তি দিব্যভাবোহপি দুলভ: | বীরসাধন কৰ্ম্মণি প্রত্যক্ষাণি কলেী যুগে ॥ ১৯ কুলাচারং বিনা দেবি কলে সিদ্ধিন জায়তে। তস্মাৎ সৰ্ব্ব প্রযত্নেন সাধয়েৎ কুলসাধনম || ২০ কুলাচারেণ দেবেশি ব্রহ্মজ্ঞানং প্রজায়তে । ব্ৰহ্মজ্ঞানযুতে মর্ত্যে জীবন্মুক্তে ন সংশয়: ২১ জ্ঞানেন মেধ্যমথিল-মমেধ্যং জ্ঞানতো ভবেৎ { ব্ৰহ্মজ্ঞানে সমুংপন্নে মেধ্যামেধ্যং ন বিদ্যতে ॥ ২২ তুমি উপাসকদিগের কার্যের নিমিত্ত, জগতের মঙ্গলের নিমিত্ত এবং দানবদিগের সংহারের নিমিত্ত সময়ে সময়ে নানাবিধ দেহ ধারণ করিয়া থাক । তুমি বিশ্ব-রক্ষার্থ কথন চতুভুজ, কখন দ্বিভূজা, কখন ষড়ভুজা, কখন বা অষ্টভুজ হইয়া নানাপ্রকার অস্ত্ৰ-শস্ত্র ধারণ করিয়া থাক । সমুদায় তন্ত্রে সেই নানা-রূপভেদে, নানারূপ মন্ত্র, নানারূপ যন্ত্রদি ও নানারূপ সাধন কথিত হইয়াছে। পশু, দিব্য এবং বীর—এই তিন প্রকার ভাব কথিত আছে । কলিযুগে পশুভাব নাই, দিব্যভাবও ভুলভ। কলিযুগে, বীর-সাধনই প্রত্যক্ষ-ফলদায়ক । হে দেবি ! কলিযুগে কুলাচার ব্যতীত সিদ্ধি হইতে পারে না । অতএব সৰ্ব্ব প্রযত্নে কুল সাধন করিবে । ১৬—২০ ! হে দেবি ! কুলাচার দ্বারা ব্ৰহ্মজ্ঞান জন্মে । যে মসুয্যের ব্ৰহ্মজ্ঞান হইয়াছে, তিনি জীবন্মুক্ত, তাহাতে সন্দেহ নাই । শাস্ত্র