পাতা:মহানির্ব্বাণ-তন্ত্রম্‌ (শ্যামাচরণ কবিরত্ন).pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২ মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্ৰম্‌ ! ন করোতি ন চাপ্লাতি ন গচ্ছতি ন তিষ্ঠতি । সত্যং জ্ঞানমনাদ্যস্ত-মবাত্মনসগোচরম ॥ ২৮ তস্তেচ্ছামাত্রমালম্ব্য ত্বং মহাযোগিনী পরা । করেষি পাসি হংস্তস্তে জগদেতচ্চরাচরম্ । ২৯ তব রূপং মহাকালে জগৎসংহারকারক: । মহাসংহার সময়ে কালঃ সৰ্ব্বং গ্রসিষ্যতি ॥ ৩০ কলনাৎ সৰ্ব্বভূতানাং মহাকাল: প্রকীৰ্ত্তিতঃ। মহা কালস্ত কলনাত ত্বমাদ্য কালিকা পরা । ৩১ এবং নির্লিপ্ত। তিনি কোন কাৰ্য্য করেন না ; তিনি ভক্ষণ করেন না, গমন করেন না । কোন বস্তুবিশেষে তাহার অবস্থিতি নাই । তিনি নিক্রিয় ; তিনি সত্যস্বরূপ ; তিনি আদি-অন্ত-রহিত ; তিনি বাক্য এবং মনের অগোচর । তুমি পরাৎপরা মহযোগিনী । তুমি তাহার ইচ্ছামাত্র অবলম্বন করিয়া এই চরাচর জগৎ সৃষ্টি করিতেছ, এই জগৎকে পালন করিতেছ এবং সৰ্ব্বশেষে সৰ্ব্বজগৎকে সংহার করিতেছ। জগৎ-সংহার-কারক মহাকাল—তোমারই একটি রূপ। এই মহাকাল, মহাসংহার-সময়ে, সমুদায় গ্রাস করিবেন । ২৬—৩০ । সৰ্ব্বপ্রাণীকে কলন অর্থাৎ গ্রাস করেন বলিয়, তিনি ‘মহাকাল’ নামে প্রকীৰ্ত্তিত হইয়াছেন । তুমি মহাকালকেও কলন অর্থাৎ গ্রাস কর, এই নিমিত্ত তোমার নাম আদ্য পরা কালিকা। তুমি কালকে গ্রাস কর, এই নিমিত্ত তুমি ‘কালী’ । তুমি সকলের আদি । তুমি সকলের কালস্বরূপ এবং আদিভূত, હારે नििबिद्ध তোমাকে লোকে আদ্যা কালী বলিয়া কীৰ্ত্তন করে । তুমি সৰ্ব্বসংহারক প্রলয়সময়ে বাক্যের অতীত, মনের অগম্য, তমোময় আকৃতি-বিহীন স্বরূপ অবলম্বন