পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ মহাভাগবত । স্থত ঋষির নৈমিষারণ্যে গমন। পরম-ধাৰ্ম্মিক, বেদার্থবেত্তার অগ্রগণ্য স্থত গোস্বামী যদৃচ্ছাক্রমে একদা নৈমিষারণ্য ক্ষেত্রে উপস্থিত হইলে শৌনকাদি ঋষি জিজ্ঞাসা করিলেন, হে মহাত্মন স্থত! আপনি বেদ ব্যাসের প্রিয় শিষ্য, এবং সৰ্ব্ব বেদের যথার্থ তত্বজ্ঞ ; অতএব সম্প্রতি এৰূপ কোন পুরাণ কীৰ্ত্তন করুন, যাহাতে স্বর্গ ও মোক্ষ, উভয়ই লাভ হয়; এবং যাহাতে বিশ্বজননী দুর্গ। দেীর মাহাত্ম্য, উত্তমৰূপে প্রকাশমান আছে, যাহা শ্রবণ করিলে জ্ঞানহীন ব্যক্তিরও দুর্গ দেবীতে দৃঢ়তর ভক্তি উত্তেজিত হয়। - স্থত কহিলেন, হে মহর্ষিগণ ! আপনার পবিত্রময় ব্ৰহ্মবংশে জন্মলাভ করিয়া অনুৰূপ কাৰ্য্যানুষ্ঠানে তপস্যার পর। কাষ্ঠ প্রাপ্ত হইয়াছেন ; অতএব আপনাদিগের পবিত্রময় হৃদয় হইতে এই প্রশ্নসার আবিষ্কৃত হইল। এই প্রশ্নস্বধী শ্রবণপুটে পান করিয়া আমি ক্লতাৰ্থ হইয়াছি। অতৃএব অবশ্বই আপনাদিগের আজ্ঞ। সম্পাদনে সমর্থ হইব । পূৰ্ব্বকালে যোগীশ্বর মহাদেব নারদকে যে মহাভাগবত । নামক পরম গুহ্য পুরাণ কহিয়াছিলেন, বেদব্যাস তপোবলে সেই পুরাণ প্রাপ্ত হইয়া প্রথমতঃ ভক্তিযুক্ত জৈমিনি ঋষির নিকট আদ্যোপান্ত কীৰ্ত্তন করেন। এক্ষণে আমি সেই পুরাণরত্ন আপনাদিগের নিকট আবিষ্কার করিব ; কিন্তু জানিবেন ইহা পরম যত্নেই শ্রোতব্য। এই পুরাণ পাঠে, কি শ্রবণে যে পুণ্যপুঞ্জ জন্মে, মহেশ্বর শত বষেও তাহার সঙ্খ্যা করিতে সমর্থ হন না, আমি কি প্রকারেই বা তাছার পুণ্যসীমা কহিতে পারিব ।