পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায় । শিবদ্বেষীদিগের কুশলানুসন্ধান করিতেছেন, এই দেখিয়া আপনাতে আর কিঞ্চিষ্মাত্রও সমীহ করা বিধেয় নয়। এই কথা শুনিয়া, বিষ্ণু সন্মিতাননে কহিলেন, ভাল ভাল, তোমাদের সহিত আমার যুদ্ধই হইবে ; আমারে পরাজয় না করিলে, দক্ষের উপর দৌরাত্ম্য করিতে পারিবে না ; কি পর্য্যন্তই তোমাদের বলবিক্রম, তাহ দেখিতে হইল। এই কথা বলিয়া একখানি রত্নময় কাম্মুকে জ্যাসংযোগ করিয়া শরবর্ষণ করিতে লাগিলেন। সেই যজ্ঞভূমির মধ্যে মহারথী বিষ্ণুর রথ প্রবল বায়ুবেগে ভ্রমণ করিতে লাগিল। কখন ধরগতলে, কখন আকাশমণ্ডলে, কখন ঋজুগামী, কখন বক্রগায়ী হইয় বেষ্টন করিতেছে, তড়িমালার কতইবা চাঞ্চল? মধ্যে মধ্যে এক একবার যখন স্থিরাবস্থান হয়, তৎকালেই রথের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখিতে পাওয়া যায়, নতুবা গমনসময়ে আর কিছুই অবলোকন হয় না ; কেবল একটা অবিচ্ছিন্ন তেজোরেখা এইমাত্র বিবেচনা হয়। তাদৃশ দ্রুতগামী রথের উপরি ভাগে, ভগবান বীরাসনে উপবিষ্ট, রত্নাঞ্চিত দৃঢ়তর কবচ গাত্রে পরিধান, মস্তকে অপূৰ্ব্ব রত্নময় মুকুট ধারণ করিয়াছেন ; বাণক্ষেপে এতই দ্রুতহস্ত ষে, কোনসময়ে বাণ গ্রহণ বা সন্ধান এবং কখন বা নিক্ষেপ, ইহার কিছুই অনুভূত হয় না। তুণে দৃষ্টিপাত করিলে বোধ হয়, সৰ্ব্বদাই তুণে হস্ত রহিয়াছে; আবার মৌৰ্ব্বীর উপরিভাগে দৃষ্টিপাত করিলে বোধ হয়, সেই স্থানেই হস্ত রহিয়াছে। চতুরচুড়ামণি বিষ্ণুর রশূচাতুর্য্য দেখিয়া, দেব দানব প্রভৃতি সকলেই চমৎকৃত হইয়া রহিল। ক্ষণাৰ্দ্ধ মাত্রে