পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ মহাভাগবত । হইয়াছিল, যাহার বিভৎসাকার দর্শনে সকলেরই হৃৎকম্প হইত,সেই ভূমিই আবার দেখিতে দেখিতেই সুরম্যাও দেবদুল্লভ হইয়া উঠিল। তদর্শনে বিধাতার পুত্ৰশোক উচ্ছলিত হইয়া পুনৰ্ব্বার দেবদেবের নিকট ক্লতাঞ্জলিপুটে বলিতে লাগিলেন, হে ত্রিলোকনাথ শম্ভে ! যদ্যপি কৃপাবলোকন পূর্বক বিনষ্ট যজ্ঞকে সৰ্ব্বাবয়বে সুন্দর করিলেন, তবে আমার মৃতৃ পুত্র ঐ দক্ষকেও পুনৰ্জ্জীবিত করিতে আজ্ঞা হউক ; তাহ না করিলে আপনার আশুতোষ এই নিষ্কলঙ্ক নাম কলঙ্করেখায় অঙ্কিত হইয়া থাকিবে; হে দয়াময়! আপ নার ঐ অঁতুল চরণদ্বয় ধৰ্ম্ম অর্থ কাম মোক্ষ,এই চতুৰ্ব্বিধ ফলদান বিষয়ে কম্পপাদপস্বৰূপ হইয়াছে ; যে সময়ে হউক, ক্ষণকালের নিমিত্ত ঐ সন্তানক তরুর তলস্থ হইলে, ধৰ্ম্মাদি চতুঃপ্রকার ফল যথেচ্ছাক্রমে প্রাপ্ত হওয়া যায় ; তাহাতে আমি নিতান্ত ছরণাশ্রিত হইয়াও কি পুত্ৰস্বৰূপ ফলটাকে প্রাপ্ত হইব না? এই কথা শুনিয়া পঞ্চানন স্মিতমুখে বলিলেন, হে বীরচুড়ামণে বীরভদ্র ! আমি আজ্ঞা করিতেছি, দক্ষ প্রজাতিকে শীঘ্র জীবিত কর । সতীনাথের মুখপঙ্কজ হইতে অনুমতি প্রাপ্ত হইয়া, শিবতুল্য বুদ্ধিবিক্রমশালী সেই বীরভদ্র তৎক্ষণমাত্রেই ছাগমুণ্ড প্রদান করিয়া প্রজাপতিরে পুনরুজ্জীবিত করিলেন। ধীমান ধাৰ্ম্মিক জনের। ঈশ্বরের নিন্দাকারী ব্যক্তিদিগকে পশুতুল্যই বিবেচনা করিয়া থাকেন; তদনুসারেই মহামতি বীরভদ্র দক্ষ প্রজাপতির ছাগমুণ্ড করিয়া দিলেন। প্রজাপতিকে জীবিত দেখিয়া সকলেই সন্তুষ্ট হইল ; দেবতাএবং ব্রাহ্মণ, সকলেই নির্ভয়ান্তঃকরণে সভা