পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায় । \כ স্থতের এইপ্রকার বাক্য শুনিয়া মহর্ষিগণ সাতিশয় সস্তুষ্ট হইলেন ; এবং আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইয়া সকলে পুনৰ্ব্বার কহিতে লাগিলেন, হে মুনিশ্রেষ্ঠ স্থত! যে প্রকারে এই মহা পুরাণ ধরাতলে প্রকাশ পাইল, তাহা সবিস্তারে কীৰ্ত্তন করুন। স্থত গোস্বামী তখন কৃতাঞ্জলিপুটে কহিলেন, মহষিগণ ! শ্রবণ করুন । যিনি বেদ সকলের অদ্বিতীয় তত্ত্বজ্ঞ ; যিনি অশেষ ধৰ্ম্ম-শাস্ত্রের পারদর্শী, অথচ সদ্বক্তা; যিনি সকল কলাভিজ্ঞ ; মহাবুদ্ধিমান; এবং তত্ত্বজ্ঞানী; সেই ধৰ্ম্মৰিৎ ভগবান বেদব্যাস একদা চিন্তা করিলেন, আমি সপ্তদশ মহা পুরাণ প্রস্তুত করিয়া আনন্দিত হইয়াছি; কিন্তু ইহাকে পূর্ণঃ নন্দের উদয় বলা যায় না; (কারণ) তাহা হইলে হৃদয় পরিতৃপ্ত হইত; আর কোন বিষয়ে স্পৃহ থাকিত না। অতএব ভগবতীর পরম তত্ত্বমাহাত্ম্য যাহাতে বিস্তীর্ণ মাছে, পিতার নিকট শুনিয়াছি যার পর পরম মহা পুরাণ আর নাই, আমি কি প্রকারেই বা সেই পুরাণরত্ন সংগ্ৰহ করিব ? মহাযোগী মহেশ্বরও অনায়াসে যাহার পরম তত্ত্ব জানিতে পারেন না, সেই পরমেশ্বরীর পরম তত্ত্ব আমার হৃদয়ে যে উদয় হুইবে, ইহা অত্যন্ত অসম্ভব! (ঋষি ) এইৰূপ চিন্তা করত নিতান্ত ক্ষুদ্ধচেতা হইলেন; আবার বিবেচনা করিলেন, তপস্যার অসাধ্য কিছুই নাই ; সৰ্ব্বশাস্ত্রেই ইহার প্রমাণ করিয়াছে। এই প্রকার অবধারণ করত তপস্যায় কৃতনিশ্চয় হইয়া, সেই भशष्ट्रख्द বেদব্যাস হিমালয় পৰ্ব্বতে গমন করিয়া দুর্গাভক্তি-পরায়ণ হইয়। তপস্যা করিতে লাগিলেন। 4്