পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ অধ্যায় { לכ\ ל যাপন করিতেছিলাম, বিষ্ণু তাহাও নষ্ট করিলেন ? হায়; হ্ৰদশোষে বিহ্বল সফরকুলের গণ্ডষ মাত্র জলের স্যায়, যে কিঞ্চিৎ জীবনে পশয় ছিল, তাহণও তিনি অপসারিত করিলেন ! অতএব আমিও তাহাকে অভিসম্পাত করিতেছি, ত্রেতাযুগে তিনি স্থৰ্য্যবংশীয় রাজভবনে জন্মলাভ করত প্রখ্যাতযশা হইয়া তামার সতীর সমান অসাধারণগুণসম্পন্ন। প্রিয়তমা পত্নী প্রাপ্ত হইবেন ; সেই প্রিয়তমা সান্ধী কিয়ৎকল র্তাহার সহচারিণী হইয়। কোন সঙ্কট সময়ে সস্বৰূপ ছায়াকে পতিপাশ্বে স্থাপন করত স্বয়ং অন্তৰ্দ্ধান কfরবেন ; মায়াজালে বিমূঢ় হইয়া বিষ্ণু কিছুই জানিতে পরিবেন না, ঘুেই ছায়াপত্নীতেই পরমহলাদে অনুরক্ত থাকিবেন। কিঞ্চিৎকাল পরে একজন ক্ররকর্মী রাক্ষস আসিয় তাহার হৃদয়বিলাসিনী ছায়াপত্নী হরণ করিবে । অনন্তর মায়াবশে স্বদূরে নীত বিষ্ণু ঐ প্রাণপ্রিয়ার দর্শনলালসায় মহাবেগে আগমন করিয়া দেখিবেন, প্রেয়সী পূৰ্ব্ব স্থানে নাই ; তখন তিনি আমার স্তায় শোককাতর হইয়া, হা প্রেয়সি ! শব্দে রোদন করিতে করিতে ক্ষিপ্তপ্রায় নানা স্থানে গমনাগমন করিবেন ; এমন কি, তাহার শোকে পশু পক্ষী এবং লতা আর বনস্পতি প্রভৃতিকেও পরিতাপিত করিবেন, এবং তাহারাও পুষ্পপল্লবাদিপতিচ্ছলে শোকাশ্ৰু বিসর্জন করবে। প্রিয়াবিরহে সন্তাপ কত দূর দুঃসহ, তখনই তাহ সম্যক হৃদয়ঙ্গম হইবে। শিব এই প্রকারে বিষ্ণুকে অভিশপ্ত করত কিঞ্চিৎকাল নিস্তব্ধ থাকিয়া ধ্যাননিমীলিত নয়নে ত্রিভুবন অন্বেষণ