পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশাধ্যায় । অতঃপর নারদ মহাদেবকে প্রশান্ত দেখিয়া বিষ্ণুর নিকট গমন করত, তাহার প্রতি শিবের অভিশাপ, এবং শস্তুর ব্যাকুলত, ও পৰ্ব্বতৰূপ ধারণ, তপোনুষ্ঠান, প্রভৃতি সমস্তই শ্রবণ করাইলেন। নারদমুখে শিববৃত্তান্ত শ্রবণমাত্রে বিষ্ণু ব্ৰহ্মার মুখাবলোকন করত বলিলেন, চল আমরা তাবিলম্বেই তাহার নিকটে উপস্থিত হই। এই বলিয়া উভয়েই বায়ুবেগে গমন করিতে লাগিলেন ; যাহার যে বাহন ও অস্ত্ৰ শস্ত্র, সে সকল কোথায় কি রহিল, তাহ কেহ লক্ষ্যও করিলেন না। এইৰূপে কিরদ্র গমন করিয়া, বিষ্ণু বলিতে লাগিলেন, ব্রহ্মন! সেই পরম প্রকৃতির অংশসম্ভ.তা দেবীত্রয়কে আমরা পত্নীভাবে প্রাপ্ত হইয়া কি পৰ্য্যন্ত পরিতৃপ্ত হইয়াছি তাহ বর্ণনাতীত। ইহাদের বিচ্ছেদ ক্ষণকালও অসহনীয় ; তাহ সহ করা দূরে থাকুক, মনে সে ভাৰ আলোচিত হইলেও দেহ দগ্ধ হইয়া যায় ; যাহা হউক, মহাদেব যে কত বড় ভাগ্যবান ও মহাত্মা, তাহা বচনাতীত ; যিনি পরম যোগের তুল্লভ, সেই পূর্ণানন্দময়ীকে সৰ্ব্বাঙ্গীন ভাবে প্রাপ্ত হইয়া প্রতিক্ষণে সাক্ষাৎ করা এবং তাহার প্রিয়তম হওয়া, ও পূর্ণপ্রকৃতির বিরহে প্রাণধারণ করা, তিনি ব্যতীত অণর কেহই সক্ষম নহেম। যদিও নারদমুখে শুনিয়াছি তিনি যোগাবলম্বন করিয়াছেন, তথাপি সতীর বিচ্ছেদগ্রস্ত হইয়া কখনই একবারে শান্তিলাভ করিতে