পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশাধ্যায়। বেদব্যাস বলিতেছেন, বৎস জৈমিনে ! অনন্তর অপূর্ব অণখ্যান শ্রবণ কর । গিরি নন্দিনী গঙ্গা পিতাকে প্রবোধ দান করিয়া ব্রহ্মার নিকটস্থা হইলে, ব্রহ্মা গিরিরাজের মুখাবলোকন করত বলিলেন, অদ্রিনাথ ! তুমি কি কন্যাটি অণমাদিগকে সমপর্ণ করিলে ? ব্রহ্মার বাক্য শ্রবণ করিয়া হিমালয় নয়নজল প্রোঞ্জন করত বলিলেন বিধাতঃ “আমার জীবনাধিক কন্যা আপনাকে সমপর্ণ করিলাম,” ব্ৰহ্মা অমনি “তথাস্তু” বলিয়া গঙ্গাধন গ্রহণ করত দেবগণের সহিত ব্রহ্মলোকে গমন করিলেন । গিরীন্দ্রের নিকট মেনকার গমন । দাসী ঐ সমস্ত স্বচক্ষে দর্শন করিয়া দ্রুতপদে অন্তঃপুরে প্রবেশপূৰ্ব্বক মেনকার নিকট উপস্থিত হইয়া সজলনয়নে বলিল, রাজমহিৰি ! গঙ্গা তোমাদিগকে ত্যাগ করিয়া, বোধ হয় চিরদিনের নিমিত্তই, কোন স্থানে গমন করিলেন” দাসীর এই অশনিপাত সদৃশ বাক্য শ্রবণ করিয়া, গিরিরানী উন্মাদিনীর ন্যায়, বহিরাগমন করত হিমালয়কে জিজ্ঞাসা করিলেন, অদ্রিনাথ ! আমার প্রাণাধিক তনয়া গঙ্গ কোথায় ? দাসীমুখে দুঃসহ বাক্য শ্রবণ করিয়া অামার প্রাণ ব্যাকুল হইতেছে! এই যে ক্ষণমাত্র হইল, জীবনসঙ্কশ্ব অঙ্গ