পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। న নহে। মহাপাতকী পৰ্য্যন্ত লোক সকলের পরিত্রণের নিমিত্ত এই মহাপুরাণ ক্ষিতিতলে প্রকাশ হইয়াছে। দ্বিতীয় অধ্যায়। বেদব্যাসের নিকট জৈমিনি ঋষির পুরাণ শুনিবার অভিলাষ। স্থত গোস্বামী বলিতেছেন, হে মহর্ষি সকল! শ্রবণ করুন। ব্যাসমুখে নানাবিধ পুরাণ শ্রবণ করিয়া সৰ্ব্বদাই সানন্দ-হৃদয় জৈমিনি মুনি একদা ব্যাসদেবকে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করিয়া বলিতে লাগিলেন, হে মুনিবর! আপনি সকল বেদবেক্তার শ্রেষ্ঠ ; আপন হইতে শ্রেষ্ঠ সদ্বক্তা ভুবনে আর নাই ; আপনার মুখচন্দ্র হইতে পুণ্যতম কথা সকল শ্রবণ করিয়া আমি কৃতাৰ্থ হইয়াছি ; সংপ্রতি এক বিষয়ে নিতান্ত স্পৃহা হইয়াছে। যিনি জগতের আদিভূত সনাতনী ; যিনি দুর্গপীড়ানশিনী ভূগর্ণ ; যিনি ত্ৰৈলোক্য-জননী; যিনি চিদানন্দময়ী, নিত্যা ; যাহার পাদপদ্ম হৃদয়পদ্মে নিরন্তর ধ্যাম করিয়া মহাদেব শবৰূপেও ব্রহ্মাদি দেবতার ভূরারাধ্য হইয়াছেন ; সেই দেবীর অতুল মাহাত্ম্য পূৰ্ব্বে সংক্ষেপে কহিয়াছেন ; অতএব, হে মহাভাগ ! আপনার এই দীন সন্তানের প্রতি দয়া করিয়া উহা সবিস্তারে কীৰ্ত্তন করুন। বহু শত জন্মের পর ভুলভ মনুষ্যজন্ম প্রাপ্ত হইয়া যে ব্যক্তির সে মাহাত্ম্য শ্রবণ না হয়, সে ব্যক্তির জীবনই বিফল ।