পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yసిః মহাভাগবন্ত । গিরিরাজ মৃদুমধুরভাষিণী নিজনন্দিনীর এই সমস্ত বচন শ্রবণ করিয়া এবং নারদের অমোঘ বাক্য স্মরণ করিয়া তৎক্ষণমাত্রেই পাৰ্ব্বতীকে শিবসন্নিধানে গমন করিবার নিমিত্ত মনস্থির করিলেন । তদুপযোগী উদ্যোগও করিতে লাগিলেন। মেনকা পাৰ্ব্বতীকে বক্ষঃস্থলে লইয়া অজস্র অশ্রুজলে অভিষেক করতঃ মুক্তকণ্ঠে রোরুদ্যমান হইয়া বলিতে লাগিলেন, হে নন্দিনি তুমি আমার প্রাণপুত্তলিক; তোমাকে ক্ষণকাল নয়নের বহিঃস্থিত করিলে প্রাণবৈকুল্য হয় ; বংসে! তুমি আমার সুকুমারী কন্যা, তোমাকে নিবিড়কাননে নির্বাসিত করিয়া কি প্রকারে প্রাণ ধারণ করিব ! জননীকে নিতান্ত খেদাম্বিত দেখিয়া পৰ্ব্বতনন্দিনী নবপল্লবের ন্যায় কোমল স্বকীয় করপল্লব দ্বারা জননীর নয়নজল প্রোঞ্ছন করত সান্থনা করিয়া বলিলেন, জননি ; আমার নিমিত্ত কিছুমাত্র শোক করিবেন না। তুমি ত পূৰ্ব্বেই জানিয়াছ আমি আদ্যাপ্রকৃতি নিত্যানন্দময়ী আমার কোন কালে কোন স্থলে দুঃখ নাই । বন অথবা ভবন, শ্মশান অথবা সুখাসন সকলই আমার সমান ; শ্মশানভবনে শববাহনে মহাকালী মূৰ্ত্তিতে অামি সৰ্ব্বদাই প্রায় মহামার করিয়া দানব সংহার করিয়া থাকি। অতএব মা ! তুমি আমার নিমিত্ত চিন্তিত হইও না, সুস্থির হও ; আমি অপকালের মধ্যেই তোমার নিকটে প্রত্যাগমন করিব । এই প্রকারে পাৰ্ব্বতীর বাক্য সকল শ্রবণ করিয়া গিরী দ্রাণী ভয়ে ভীত হইয়া (উ ম৷” এইপ্রকার সম্বোধনে আবাহন করিয়াছিলেন ; তাহাতেই তদবধি পাৰ্ব্বতীর “উমা”