পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাবিংশ অধ্যায় । $సిసి অসুররাজও কৃতাঞ্জলিপুটে পশ্চাৎ পশ্চাৎ কিয়িদর গমন করিয়া বিধাতার অজ্ঞানুসারে প্রত্যাবৃত্ত হইয়া, সত্বরেই সগণে ক্ষতিতলে আগমন করত রাজ্যশাসন করিতে থাকিলেন। ইন্দ্রাদি দেবগণ প্রত্যহ ক্ষিতিতলেই সমাগত হইয়া উপঢৌকন দ্রব্যাদি দ্বারা অসুররাজের মনোরক্ষা করিতেন ; সেই মহাসুরের ভয়ে ভীত হইয়া এক দিনও অনাগত হইয়া থাকিতে পারিতেন না। এই প্রকারে কিয়ৎ কাল অতিবাহিত হইলে একদা স্বৰ্গ মধ্যে অতি নিজন স্থানে কতকগুলি অমরপ্রধান একত্রিত হইয়া শিববিবাহের মন্ত্রণ আরম্ভ করিলেন । নিজন সভায় সমুপস্থিত দেবগুরু বৃহস্পতিকে ইন্দ্র বলিলেন, আচাৰ্য্য! আমাদের দুর্দশ সকলই ত দেখিতেছেন ; এই দুরাত্মার বধোপায় আর কিছুতেই নাই। যদি শিববীৰ্য্যসস্তুত সন্তান হয়, তবেই বিনষ্ট হইবে ; পিতামহ এইৰূপ উপায় বলিয়। মহাদেবের বিমোহনের চেষ্টা করিতে আদেশ করিয়াছেন। কিন্তু সেই মহেশ্বর সংসার মুখ বিসর্জন করিয়া ষে প্রকার সংযত চিত্তে যোগাবলম্বন করিয়াছেন ; কার মাধ্য এ সময়ে তাহার নিকটে পাণিগ্রহণের কথা উত্থাপন করে ! কোন ব্যক্তিই বা তঁহার চিত্তবিমোহন করিবে, ইহা ত্রিলোক মধ্যে লক্ষিত হইতেছে না । আমি শুনিয়াছি, অলোকসুন্দরী প্রায় বদ্ধযৌবনা, গিরীন্দ্ৰনন্দিনী সৰ্ব্বদাই উহার পুরিচর্য্যা কার্য্যে সংযত চেতা আছেন ; তাহাতেও যখন চিত্তবিকারের সম্পর্কও নাই, তখন স্বর্গবিদ্যাধরীগণকে কি