পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৮
মহাভাগবত।

দয়াময়! আপনকার চরণ সন্নিধানে থাকিয়া, আমরা অনুক্ষণই পূর্ণানন্দ অনুভব করি; এই কথা শুনিয়া মহাদেব ঈষৎ হাস্য করিলেন। নন্দী জিজ্ঞাসা করিলেন, ব্রহ্মন্‌! আপনকার পরিচর্য্যাকারিণী গিরীন্দ্রনন্দিনী দণ্ডায়মানা আছেন, অনুমতি হইলে পরিচর্য্যার্থে আগমন করেন। মহাদেব জটাজূটযুক্ত মস্তক ঈষৎ হেলন করিয়া নিকটবর্ত্তিনী হইতে আজ্ঞা প্রদান করিলেন। অনন্তর নদী অগ্রসর হইয়া গৌরীকে আশ্রমে প্রবিষ্ট করাইলেন; মহেশ্বর দৃষ্টিপাতপূর্ব্বক গিরিকন্যার শারীরিক সচ্ছন্দভাব অবগত হইয়া নন্দীকে বলিলেন, নন্দিন্‌! এই কন্যাটী গিরিরাজের প্রাণতুল্য প্রিয়তম, ইহাঁকে একান্ত সুশীলা দেখিয়া তপস্বিগণের আচরণ শিক্ষার নিমিত্ত আমার নিকটে রাখিয়া গিয়াছেন। অতএব সর্ব্বদাই তোমরা দৃষ্টি রাখিবে, কোন ব্যক্তির নিকটে ইনি অবমানিতা না হন। এই কথা নন্দীকে বলিতেছেন, ইতোমধ্যে সখাদ্বয়ের সহিত পার্ব্বতী শিবসম্মুখে প্রণতা হইয়া স্বহস্ত গ্রথিত পদ্মবীজসম্ভূত মালা শিবহন্তে সমর্পণ করিলেন। এই ঘটনাটী দর্শন করিয়া হতদর্প কন্দর্প অতুল সাহসে হৃষ্টরোমা হইলেন। তিনি শিবমোহিনীকে শিবসম্মুখে দর্শন করিয়া বলদর্পে যেন দেদীপ্যমান হইয়া উঠিলেন; পুষ্পময় ধনুতে সংহর্ষণ নামক বাণ যোজনা করিয়া মহেশ্বরের উপর নিঃক্ষেপ করিলেন। কামশরে আহত হইয়া মহেশ্বর অভুতপূর্ব্ব আহ্লাদসহকারে পার্ব্বতীর বদনারবিন্দ দর্শন করিতে লাগিলেন। আকর্ণনয়ন পার্ব্বতী