পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* २७8 মহাভাগবত । দ্বয়ের সহিত পিতৃভবনে গমন করিলেন। বহুকালাস্তে পাৰ্ব্বতীর প্রত্যাগমন বাৰ্ত্তী প্রবণ করিয়া সহসা গাত্রেণথান করিয়া গিরিরাজ অগ্রসর হইয় প্রাণসম কস্তাকে নিজাঙ্কে আদান করিয়া পুরমধ্যে আনয়ন করিলেন। অশ্র-মুখী মেনকা দ্রুতপদে আগমন করিয়া পাণিপ্রসারণে পুত্রীকে আলিঙ্গন করিলেন ; পরমাদরে মুখচুম্বন করিয়া বলিতে লাগিলেন, মা ! তুমি আমার প্রাণাধার পুত্তলিকা ; অতএব যে পর্য্যন্ত তুমি বনগমন করিয়াছ তদবধি প্রাণহীন মৃতকায় প্রায় হইয়া রহিয়াছি ; আজ আমি মৃতদেহে জীবন প্রাপ্ত হইলাম। এই বলিয়া দরদরিত প্রেমধারাতে মেনকার উরোবসন আদ্রীভূত হইল। মৈনাক প্রভৃতি ভ্রাতৃগণ এবং অপরাপর বন্ধুবৰ্গ সকলেই আনন্দ উৎসব করিতে থাকিলেন । পাৰ্ব্বতীর সখীদ্বয়কে নিজনে আহবান করিয়া স্বীয়সুতার উদেশ্ব সিদ্ধির বিষয় জিজ্ঞাসা করিয়া তাহদের প্রমুখ।ৎ সমস্ত বৃত্তান্ত শ্রবণ করতঃ গিরিরাজ পরমহলাদিত হইলেন ; সংবাদ কাল প্রতীক্ষা করিয়া শৈলেন্দ্র কালযাপন করিতে থাকিলেন । সপ্ত ঋষির শিবনিকটে আগমন । এই সময়ে মহাদেব গঙ্গাবতরণ শৃঙ্গে প্রমথগণের সহিত থাকিয়া মরীচি প্রভৃতি সপ্ত ঋষিকে স্মরণ করিলেন। স্মরণ মাত্রে ঋষিগণ শিবমন্নিধানে উপস্থিত হইয়া অৰ্দ্ধ প্রদক্ষিণ ও প্রণামাস্তে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে ত্ৰিদশেশ্বর । এই দাসবৃন্দকে কি নিমিত্ত স্মরণ করিয়াছেন, অজ্ঞ।