পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

°C心 · মহাভাগবত । অতীব গুহ ; এবং ঐ কথার ভাবার্থ অতীব সুক্ষ ; অতএব একাগ্র মনে শ্রবণ কর । প্রথমতঃ এই জগৎ সংসার কিছুই ছিল না। কি স্থৰ্য্য, কি চন্দ্র, কি তারাগণ, কি দিবারাত্রি, কি পূৰ্ব্বপশ্চিমাদি দিগ্বিভাগ, কি শব্দ, কি স্পর্শ, কি আর কোন তেজ, কিছুই ছিল না ; কেবল সচ্চিদানন্দ ব্রহ্মমাত্রই ছিলেন । জন্ম জন্ম যাহার' শ্রবণ, মনন ও নিদিধ্যাসন করিলে যিনি সাক্ষাৎ কৃত হইয়া একক ব্রহ্মমাত্রই প্রতিপন্ন হন; যিনি অখণ্ড জ্ঞানময়ী ; যিনি নিত্যানন্দৰূপিণী ; যিনি বাক্য মনের অগোচর পদার্থ ; যিনি অংশ-রহিত ; যিনি যোগিগণের দুজ্ঞেয় ; যিনি সৰ্ব্বব্যাপিনী ; যে বস্তুতে কোন উপদ্রব নাই ; সেই হুক্ষা প্রকৃতিই এক ছিলেন। অনন্তর সেই নিত্যা প্রকৃতির যখন স্বষ্টিশক্তির উদয় হইল, তখন সেই আকারগুষ্ঠা প্রকৃতি স্বেচ্ছাক্রমে হঠাৎ একটি ৰূপ ধারণ করিলেন। হে বৎস ! সে ৰূপের কথা কি কহিব ? স্মরণ মাত্রেই বোধ হয় কৃতার্থ হইলাম ! এমনি মনোহর শ্ব মবর্ণ, অঞ্জন পৰ্ব্বত কতই ব৷ কৃষ্ণবর্ণ; নবীন জলধরগণ তাহার সুস্নিগ্ধ প্রকৃতির প্রতিকৃতি হইতে পারে না। সেই ৰূপসাগরে অবগাহন করিতে অন্তঃকরণ সৰ্ব্বদাই অভিলাষ করে। প্রফুল্লপদ্মবদন ; চতুবাহুযুক্ত ; রক্তিমনয়ন। কেশজাল আলুলায়িত। পরিপূর্ণযৌবন। সেই ঘোর সুদীর্ঘ মুৰ্বি গিরিশৃঙ্গপ্রায় উত্তঙ্গ পীনস্তনে বিভূষিত ; সিংহপৃষ্ঠে উপবিষ্ট। সেই পরমসুক্ষা প্রকৃতি প্রথমতঃ এই মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াই সত্ব, রজঃ স্তমঃ এই গুণত্রয় দ্বারা তৎক্ষণ