পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rew মহাভাগবত । মদনের পুনৰ্জ্জীবন প্রাপ্তি । এ দিকে কন্দপপত্নী রতি, পতিবিয়োগজনিত শোকে নিতান্ত কৃশাঙ্গী ও কাতর হইয়া দেবর্ষি নারদের পরামশানুযায়ী সেই আনন্দকাননে ইন্দ্রের অন্বেষণ করিতে লাগিলেন ; এবং দেখিলেন তিনি প্রজাপতি ব্ৰহ্মার সম্মুখে দণ্ডায়মান হইয়া কথোপকথন করিতেছেন। এই সুযোগে তিনি দীনবদনে ধীরে ধীরে তথায় উপনীত হইয়। অতি ভক্তিভরে তঁহাদের পাদপদ্ম বন্দনান্তে গলদশ্রনয়নে করে কহিতে লাগিলেন, হে দেবরাজ ! পূর্কে আপনার আদেশানুক্রমে কুহুমায়ুধধারী আমার পতি, সতীনাথের প্রতি স্বকীয় অব্যৰ্থ কুসুমশায়ক সন্ধান করিলে ত্রিশুলী মহাদেব তাহা অবগত হইয়া আরক্তিমনয়নে রোষায়িতে তাহাকে ভস্মসাৎ করেন ; তদ্‌ষ্টে আমি পতিবিয়োগঅসহিষ্ণু হওত র্ত হার অসহ্য বিচ্ছেদযন্ত্রণ হইতে নিষ্কৃতি পাইবার নিমিত্ত বহুতর বিলাপ ও রোদন করত প্রাণপরিত্যাগের উপক্রম করিলাম। তখন আপনি আমার সম্মুখীন হইয়া আমাকে নানাপ্রকার প্রবোধবাক্যে আশ্বাসিত করেন ;– “কামকান্তে! আর বিলাপ করিও না, তোমার পতি পুনর্জীবিত হইবেন, তজ্জন্য কোন আশঙ্কা নাই ; অতএব, কিয়ৎকালের নিমিত্ত ধৈর্য্যাবলম্বন কর । এখন মদনবাণে আহত হইয়া দেবদেবের ধ্যান ভঙ্গ হইয়াছে, সত্য বটে, কিন্তু তিনি যখন পাৰ্ব্বতীর সহিত পরিণয়ে কৃতসংপ হইয় তাহার উদেৰগ করিবেন, সেই সুযোগে অামি তোমার প্রাণকান্তকে জীবিত