উনবিংশ অধ্যায় । < ጳ:» রছিল। ক্রমে হরপার্বতী দৃষ্টিপথ অতিক্রম করিলে, পুর বাসীগণ, সজললে চনে স্বীয় স্বীয় ভবনে প্রতিগমন করিল। ধৈর্য্যশালী গিরিরাজ, কথঞ্চিৎ ধৈর্য্যাবলম্বন করিলেন ; কিন্তু স্ত্রীস্বভাবসুলভ মায়।নুরাগিণী মেনকা হৃতবৎসা গা ভীর স্তায় অস্থিরান্তঃকরণে একবার ভবন ভিমুখে গমন করিলেন, পুনর্বার পর্বতীর গমনপথ অবলোকন করিতে করিতে তদভিমুখে কিয়দর গমন করিতে লাগিলেন। তখন:পরিচারিণীগণ, রাজ্ঞীকে এ প্রকার দুর্মনায়ম না দেখিয় তাহাকে সযত্নে আস্তে ব্যস্তে গিরির জসন্নিধানে লইয়। গেলে, উভয়ের অগ্রুপূর্ণলোচন সন্দর্শন করিয়া আপনার কাতরভাব - পন্ন হইলে ও বাহালক্ষণে ধৈর্য্যাবলম্বন পূর্বক তাহাদিগকে সান্থনা করিতে লাগিল । তখন বিচক্ষণ গিরীন্দ্র বলিতে লাগিলেন, প্রিয়তমে ! যখন মায়াময় কন্যানিধি প্রসব করিয়াছ, তখনই ইহা অবধারিত আছে, যে অবশ্যই এই হৃদয়নিধিকে পরগুহে প্রেরণ করিতে হইবে । অতএব, নিশ্চিত বিষয়ে কাতর হইবার প্রয়োজন কি ! অস্থির অন্তঃকরণের স্থিরতা সম্পাদন কর—সতত সন্থনা করিতে থাক। আমি তোমার নিকট অঙ্গীকার করিতেছি, যে কিছু দিনের পরেই পুনৰ্ব্বার সেই পাৰ্ব্বতীকে আনিয়া দিব ! এইৰূপে গিরিশ্রেষ্ঠ নানাবিধ প্রবোধ বাক্যে গিরীন্দ্রমহিষীর শোকশান্তি করিলেন । হরপাৰ্ব্বতীর বিহার । বেদব্যাস বলিতেছেন, হে জৈমিনে ! যিনি দক্ষকস্তা
