পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষট ত্রিংশ অধ্যায় । \ללכ পূর্বক চরাচর বিশ্বসংসারকে ব্যথিত করিতেছে । ( অধিক কি বলিব ) এখন আমিই (রক্ষা করিয়াও) তাহার নিধনোপায় চিন্তা করিতেছি । (এখন) যদি নিমিত্ত সমুপস্থিত হয়, তাহা হইলে আমি তাহার বিনাশ সাধন করি। কিন্তু সেই দুৰ্বত্তের প্রাণ সংহার করিতে আমি স্বয়ং সক্ষম নহি । ব্রহ্মা উপযুক্ত কথাই বলিয়াছেন, তুমি নর দেহ আশ্রয় কর (তাহ হইলে ) তিনিও রাবণ বধ বিষয়ে সাহায্য প্রদান করিবেন । তুমি, মানুষী মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিলে, আমার অংশ ৰূপিণী কমলাও স্ত্রী মূর্তিতে ভূতলে অবতীর্ণ হইবেন । সেই দুৰ্ম্মতি আমার অস্ত মূৰ্ত্তি র্তাহাকে দর্শন করিয়া লোভ প্রযুক্ত রমণে অনুরাগী হইয়া হরণ করিয়া আনিবে । (অনন্তর ) লঙ্কাপুরে প্রমিন্ট হইলে, শস্তুর আদেশানুসারে ছুরাত্মার প্রাণ সংহার জন্য আমি লঙ্কাপুরী পরিত্যাগ করিব। ( এ দিকে) যে সময়ে আমার অংশ-ভূত সেই লক্ষীকে দুরাচার অবমাননা করিবে, সেই সময়েই মদীয় কোপানল তাহার প্রাণ সংহার করিবেক । হে মধুসুদন ! আমি, লঙ্কা পরিত্যাগ করিলে পর, শস্তু বানরৰীপে (স্বর্ণময়ী) লঙ্কা ভস্মসাৎ করিবেন। হে মধুসুদন | দুরাত্মা দুৰ্বত্ত সেই দশ নিনের বিনাশ নিমিত্ত সৰ্ব্বদা আমাকে স্মরণ করিবে । তুমি স্তু র্য্য বংশেরঘুকুলে মনুষ্য ৰূপে অবতীর্ণ হইলে, ব্রহ্মনন্দন বশিষ্ঠ তোমাকে যে মন্ত্র প্রদান করিবেন, হে তাত ! যোগ্য সময়ে আত্ম-রক্ষণ ও রাবণ বধের জন্ত সেই সুগুপ্ত মন্ত্র স্মরণ করিবে। হে মধুসুদন ! তাহা হইলে, দশানন