পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় । দক্ষের প্রতি ব্ৰহ্মার তপস্যার অাদেশ । বেদব্যাস বলিতেছেন, কিছুকাল পরে স্বষ্টিকৰ্ত্ত ব্ৰহ্মা বিবেচনা করিতে লাগিলেন, যদিও পরমেশ্বরী মহাদেবকে বরদান করিয়াছেন যে, ... দক্ষভবনে জন্মলাভ, করিয়া • তোমার পত্নী হইব, ” তথাপি দক্ষ প্রজাপতির তদুপযুক্ত তপস্যা ন হইলে সে বিষয় নিতান্ত অসম্ভব। অতএব ইহাকে তপস্যায় প্রবৃত্ত করিতে হইবে । কিন্তু বরদান বৃত্তাস্বও ইহাকে প্রকাশ করা হইবে না। তাহা হইলে প্রাধিতৃব্য বিষয়ের অবশ্বম্ভাবিত বোধে দক্ষের দৃঢ় ভক্তিভাবে তপস্যা ঘটিবে না। মনে মনে এই স্থির করিয়া বিধাতা নিজ পুত্র দক্ষ প্রজাপতিকে আনাইয়া প্রিয় সস্তাষে হৃষ্টচিত্ত করত কহিতে লাগিলেন, হে বৎস! তোমায় একটি হিতকর বাক্য বলিব, শ্রবণ কর। এই কথা শুনিয়া দক্ষ বিনযাবনত ও মনোযোগী হইলে, ধাতা, বলিলেন, পুত্ৰক ! আমি যথার্থ তত্ত্ব জানিয়াছি, পরম প্রকৃতি মহাতপাঃ মহেশ্বরকে এই বর প্রদান করিয়াছেন যে, অপূৰ্ব্ব কন্যাৰূপে জন্ম লাভ করিয়া তাহাকে পতিত্বে বরণ করবেন। অতএব ভুমি একাগ্র ভক্তি দ্বারা কঠোর তপস্যার অনুষ্ঠান কর ; তাহ হক্টলে তুমিই উহাকে কন্যাৰূপে লাভ করিতে পারিবে ; ইহা নিতান্তই আমার মনোগত হইতেছে। বৎস! যশহর