পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আঠত্রিংশ অধ্যায় \రిసి (অনুজ) লক্ষণের সহিত দণ্ডকারণ্য-প্রবেশে উদ্যত হইলেন। পিতৃদেব, ও গুরুদেবের চরণ বন্দনা করিয়া অস্তঃকরণে জননী কৈকেয়ীকে ধ্যান ও পুনঃ পুনঃ তদীয় চরণপ্রান্তে প্রণাম করিয়া রাক্ষস-বিনাশোদেশে যাত্রা করিলেন । - শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে পুষ্যা নক্ষত্রেই রামচন্দ্রের শুভযাত্র হইল। (এদিকে বৃদ্ধরাজ, পুত্ৰশোক-সন্তপ্ত হইয়া মুক্তকণ্ঠে রোদন করিতে লাগিলেন । ( তখন ) রযুদ্ধহ রামচন্দ্র, ভক্তিভরাবনত হইয়া, (তৎক্ষণাৎ) সুমন্ত্রনেত্র রথে আরোহণ করিয়া অনুজ ও পত্নীর সহিত পুর হইতে নির্গত হইলেন। পৌরবাসীগণ, তদ্বিরহে কাতর-ভাবাপন্ন হইয়া তৎপশ্চাৎ গমন করিতে লাগিল। তদনন্তর মহামতি সীতাপতি, তাহাদিগকে পুরপ্রবেশে আদেশ করিয়া শৃঙ্গবের পুরে আগমনপূৰ্ব্বক রথ সহিত সুমন্ত্রকে বিদায় প্রদান করি লেন । ( এবং ) সেই স্থানে ভ্রাতা লক্ষণের সহিত জটাৰসকল ধারণ করিয়া সীতাসহিত তরণী-সহযোগে জাহ্নবীর পর পারে উত্তীর্ণ হইয়া চিত্ৰকুটস্থ ভরদ্বাজ ঋষির আশ্রমে সমুপস্থিত হইলেন। হে মুনে ! ( এ দিকে) রাজা দশরথ, সুমন্ত্র সারথির মুখহইতে দাশরথি, রামচন্দ্রের বন-প্রবেশ-বাৰ্ত্তা প্রবণ করিয়া অনায়াসে আত্মজীবন বিসর্জন করিলেন । সে সময়ে, ভরত মাতুলালয়ে অবস্থিত ছিলেন, পিতার নিধন বার্তা শ্রবণে মাতুলালয় হইতে গৃহে প্রতিগমনপূৰ্ব্বক জননীকে বারংবার ভৎসনা করিয়া স্থতপিতার ঔর্থদৈ