পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চত্ত্বারিংশ অধ্যায় । \○○? এই প্রকারে প্রতিদিন রামচন্দ্র, শ্রাদ্ধকাৰ্য্য সমাধা করিয়া পরমেশ্বরীর প্রীতি সাধন করত নিশাচরদিগকে পাতিত করিতে লাগিলেন । অকম্পন নিহত হইলে, দশাননের আদেশবশে দুৰ্দ্ধৰ্ষ ধূম্রাক্ষ সেন সমভিব্যাহারে যুদ্ধ স্থলে উপস্থিত হইয়া ভীষণ প্রকার যুদ্ধারম্ভ করিল। রাঘব, দ্বিতীয় দিবসে তাহাকে রণে নিহত করিলেন । এই প্রকারে দারুণ সংগ্রামে বলবান রাক্ষসগণ বিনষ্ট হইলে পর, রক্ষসেন্দ্রের মাতুল প্রহস্ত যুদ্ধ স্থলে উপস্থিত হইল। নিশাকালেই রণদুর্মদ প্রহস্তের সহিত রাঘবের যুদ্ধারন্ত হইল। তাহার সুদারুণ রণ-নৈপুণ্য দেখিয়া সুরাসুর, নর ও দানবদিগের হৃদয়ে ভয়োদ্ৰেক হইল । তাহার ঘোরতর গভীর নিন দে দেবগণ কম্পমান হইয়া সংগ্রামসনদর্শনাভিলাষী হইলেও তৎস্থান পরিত্যাগ পূর্বক দিগ দিগন্তে পলায়ন করিলেন। বিপুল বলবীৰ্য্যশালী নিশাচর এই প্রকারে যুদ্ধ করিয়া মহামতি রামের হস্তে নিশার শেষ প্রহরে নিপতিত হইল। দশানন, তাহার নিধন বার্তা শ্রবণে অত্যন্ত দুঃখিত হইয়া রোদন করিতে লাগিলেন। (তখন ) প্রতাপবান মেঘনাদ, খিদ্যমান দশাননকে পরিসান্থন করিয়৷ অতর্কিত ভাবে আগমন করিয়া গগণপ্রদেশে অবস্থান পূর্বক নিশাকালে যুদ্ধারম্ভ করিয়া তীক্ষাস্ত্র নাগপাশ দ্বার রাম লক্ষণ উভয়কে বদ্ধ করিক্স । (কেবল) ইহা নহে ) বলবান রাবণ-নন্দন, মায়ায় মোহিত করিয়া সমস্ত বানর ও ভল্লুক দিগকেও বদ্ধ করিয়া ফেলিল ।