পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\et a মহাভাগবত । প্রধানত্ববিষয়ে শিবশক্তির শক্তি অতিক্রম করিয়া কপেন করিয়া থাকে। হে রঘুশ্ৰেষ্ঠ ! দুজয় মায়াপ্রভাবে মুগ্ধ ব্যক্তিদিগের এই প্রকারই ধারণা হইয় থাকে। বাস্তবিক, সেই সৰ্ব্বাণী জগতের আধারভূত এবং সকলের রক্ষাকারিণী । তিনি মোহবন্ধনে জীবের বন্ধন করিয়া থাকেন এবং উপাসনায় প্রীত হইয়া জীবের ভবপাশ মুক্ত করিয়া তাহাকে মুক্তিপ্রদান করিয়া থাকেন। তিনিই বটপত্রময়ী হইয়া মহাসাগরে ভাসমান নারায়ণকে রক্ষণ করিয়াছিলেন । তিনি চৈতন্য স্বৰূপিণী ; বাস্তবিক, এই জগৎ তাহার অভাবে শূন্যৰূপে প্রতীয়মান হইয়া থাকে। সুযন্ত্র যেৰূপ যন্ত্রীর চৈতন্য সম্পাদন করিয়া থাকে, সেইৰূপ তিনি স্বকীয় ইচ্ছাক্রমে লীলাপরবশ হইয়া বিরুপক্ষের সহ বিহার করিয়৷ থাকেন। তিনি, ইচ্ছা হইলে মূৰ্ত্তিধারণ করিয়া স্বয়ং প্রাচুর্ভূত হইয়া থাকেন। ভক্তের দুর্গ অর্থাৎ বিপদে পতিত হইলে তিনিই নিস্তার করিয়া থাকেন, সেই কারণে দুৰ্গতিনাশিনী দুর্গ নামে তিনি অভিহিত হইয়া থাকেন। (অন্য কথা কি বলিব ) অতি মন্দভাগ্য ব্যক্তিও তাহার নামাক্ষর স্মরণ করিলে সৌভাগ্যলাভ করিয়া থাকে। এই কারণেই বেদবাদিগণ তাহাকে মন্দভাগ্যের পরিত্রাণ-কারিণী বলিয়া জাহান করিয়া থাকেন। হে রঘুনন্দন! সেই দেবী প্রধান বিদ্যা ; তিনি ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ এই চতুবৰ্গ ফল প্রদান করিয়া থাকেন। তিনিই বিপক্ষ পক্ষের ক্ষয়কারিণী। হে বৎস! এক্ষণে তুমি আমার নিকট হইতে সেই মহাদেবীর স্থিতিস্থানের বিষয় শ্রবণ কর। হে মহাবাহে ! সুধা