পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। శిన লেন ; রাজা তাহাতেই সম্ভাব্যমান বিষয়ের স্থির নিশ্চয় করিলে পরস্পরেই পরম সুখী হইলেন । তদনন্তর যথাবিধি পান ভোজন, এবং মাল্য চন্দনাদি ধারণ, করত, সে দিন যামিনী যাপন করিয়া রাজা রজনীর পশ্চিম ঘামে গাত্রে থানপূৰ্ব্বক কৃতশৌচ ও শুদ্ধবেশধারী হইয়া সভামধ্যে গমন করিলেন ; রাজ্ঞীও ধ্যানপূজাদি নিত্যক্রিয়ার অনুষ্ঠানে আবিষ্ট হইলেন। অনন্তর দিন দিন গৰ্ব বৃদ্ধি পাইয়া, শুক্লপক্ষীয় শশাঙ্কের স্যায়, রাজমহিষীর অপৰূপ ৰূপলাবণ্যের উন্নতি হইতে থাকিল । রাজা প্রায় অধিক সময়েই অন্তঃপুরে আগমন করিয়া অনিমিষ লোচনে মহিষীর মৌন্দর্য্য দর্শন করত মনে মনে বিবেচনা করিতেন, হায় ! বিধাতা কোটি কোটি পরম সুন্দর বস্তুর সংযোগ করিয়া, সাতিশয় যত্নে যে ত্রিলোক নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন, তাহার কোন স্থানে ঈদৃশ ৰূপ দর্শন কfর না। এই অপূৰ্ব্ব ৰূপ বিধির বিধেয় নহে ; যাহার ৰূপজ্যোতিতে এই স্কুল, সুক্ষ জগৎসংসার আলোকিত হইতেছে, এ তাহারই ৰূপ। প্রণয়িনীকে তো চিরদিন দেখিতেছি, কিন্তু সে ৰূপের সহিত এ ৰূপের তুলনায়, খদ্যোত আর পূর্ণচন্দ্রের যতদুর বৈলক্ষণ, ততদুর বৈলক্ষণ্য বলিয়াও মনের তৃপ্তিলাভ হয় না। হায় ; কি আশ্চৰ্য্য! অগ্নি যে প্রকার লৌহে, কি অঙ্গারে প্রবেশ করিলে, তাহাদিগের মালিন্য দূর করিয়া স্বকীয় বর্ণই প্রকাশ করেন, ইহাও সেই প্রকার। যাহা হউক, ব্ৰহ্মময়ী গৰ্বের অন্তভূর্ত থাকাতেই যে ৰূপলাবণ্য প্রকাশ হইয়াছে, তাহাতেই প্রতিক্ষণে