৩৭৩ * মহাভাগবত্ত চন্দ্র, শরৎকালে যথাবিধি শারদীয় পূজা সমাধা করিলেন। দেবতা, যক্ষ, রক্ষ, মনুজ, গন্ধৰ্ব্ব ও পন্নগদিগেরও তিনি বন্দনীয়। এ সংসারে ত্বংসদৃশী সমারাধ্য আর দেখিতে পাওয়া যায় না । মোহাধীন হইয়া ষে ব্যক্তি র্তাহার চরণ সেবা না করে, সে যে পাপাত্মা, তাহার, আর সংশয় নাই । তাহার কোন স্থানে গতি নাই। অন্য কথা দূরে থাকুক, যে ব্যক্তি তাহাকে স্পর্শ বা তাহার সহিত সংলাপ করে, সেও নিয়তিশয় জুরাচার বলিয়া গণ্য হয়। শাক্ত, কি সৌর, কি বিষ্ণুপাসক, সকলেরই শরৎকালে শারদীয়ার পূজাবিধি করাই বিধেয় । কি মৎস্য মাংসাদি, কি ছাগ মেষাদি, কি অন্তাষ্ঠ উপচারাদি, সর্বোপায়ে পরমেশ্বরীর প্রীতিসাধন করাই কৰ্ত্তব্য। বিশেষতঃ দেবীর প্রীতিবৰ্দ্ধনার্থ পশুঘাত করা সুসক্ষত ও শাস্ত্রসন্মত। শৈব, বৈষ্ণব, বা সৌর, কোন ব্যক্তিই বিদ্বেষ বুদ্ধির অধীন হইয়া মহাদেবীর মহদচনা করিতে নিবৃত্ত থাকিবেক না । যে ব্যক্তি, মোহনিবন্ধন বা অলিন্ত পরবশ হইয়া দেবীকে অতিক্রম করিয়া অষ্ঠের উপাসনা করে, অর্থাৎ দেবীর উপাসনা না করে, তাহারা পশু দেহে সংসারে প্রকাশিত হয়। নিস্তারিণী, তাহীদের নিস্তারের জষ্ঠ অবনীতে অবতীর্ণ হইয়া পরম সমাদরে তাহাদিগকে গ্রহণ করিয়া থাকেন। এই কারণেই দেবীভক্তিপরায়ণ জনগণ বলি প্রদান করিয়া থাকেন। স্বাহারা পরমেশ্বরীর প্রতি প্রীতিমান এৱং প্রতি বৎসর অৰ্চনাকালে উপহার স্বারা প্রীত করিয়া থাকেন, তাহারা দিব্যজ্ঞান লাভ করিয়া দেবেজের পুরো
