পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চাশত্তমোধ্যায় । ፻፭)¢ ভূজা ক্ষণকালের মধ্যে কমললোচন কৃষ্ণমূৰ্ত্তিতে প্রত্যক্ষ গোচর হইলেন। বসুদেব, বনমালাধারী সেই সুকুমার বলমূৰ্ত্তি, দর্শনে সন্দর্শন করিয়া, পুনৰ্ব্বার প্রাঞ্জলি হইয়া বলিতে লাগিলেন, হে বৎস ! আমার সকল সন্তানকেই জাতমাত্রেই মহাবল দুৰ্জ্জয় কংশ শিলার উপরি উদ্ধ হইতে প্রক্ষেপ করিয়া সংহার করিয়া থাকে। হে জগৎপতে ! যে কাল পর্য্যন্ত পুরপ্রহরীগণ, জাগরিত না হয়, তাবৎ তাহার উপায় কল্পনা কর । কৃষ্ণ স্বৰূপিণী কৃষ্ণা, তাহার এই বাক্য শ্রবণ করিয়া নন্দ্যশোদার পূর্বজন্মান্তরীণ তপস্যার বিষয় স্মরণপূর্বক বলিতে লাগিলেন ; হে তাত ! এক্ষণে অতি দুরত্ম মদীয় মাতুল ভয় হইতে অব্যাহতি পাইবার এই একমাত্র উপায় আছে, আমার নিকটে তাহ। শ্রবণ কর । অষ্টমী তিথি অতীত হইলে পর, অামার অন্য এক মুর্চি গোকুলে যশোদা—জঠরে জন্মলাভ করবেন। আমার মায়াপ্রভাবে বিমোহিত হইয়া যশোদা নিদ্রাচ্ছন্ন থাকিবেন, সুতরাং কমললোচনা গৌরাঙ্গী সেই মুর্ভিকে জানিতে পরিবেন না। তুমি, ত্বর ম্বিত হইয়। র্তা হয়ে নিকটে আমাকে রক্ষা করিয়৷ সেই মূর্তি এখানে অনিয়ন করিবে এবং আমার এক সুন্দরী কন্যা জন্মগ্রহণ করিয়াছে বলিয়, ঘোষণা করিবে। সেই দুষ্ট মাতুল যে সময়ে তঁ হাকে বিনাশ করিবার জন্য শিলোপরি উদ্ধ হইতে রোষাবেশে নিক্ষেপ করিবে, সেই সময়ে সেই মূৰ্ত্তি দেবক র্যাসিদ্ধির জন্য স্বৰ্গলোকে গমন করিবেন । ( এদিকে ) আমি