পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিপঞ্চাশত্তমোধ্যায় । 3 exo এই প্রকারে বহুদিবসেই শশাঙ্ক শোভমান রজনীতে গোপীকাদের সহিত কাননে রসিক্রীড়া করিতেন । শক্তিৰূপিণী শ্যাম, স্বয়ং কৃষ্ণৰূপ ধারণ করিয়। রাধিকা ৰূপিণী শস্তুর সস্থিত বস্ত্র পহরণ প্রভৃতি অন্য প্রকার অনেক ক্রীড়া করিতে লাগিলেন। বাল্যকলাবধি কৃষ্ণের অমানুষী । লীলা দর্শণ করিয়া নন্দ দি গোপবৃন্দ কোন কোন সময়ে কৃষ্ণকে ব্রহ্ম বলিয়। নিশ্চয় করিতেন, আবার পরক্ষণে তাহার মায়াতে মোহিত হইয়া কৃষ্ণৰূপিণী দেবীকে পুত্র বাৎসল্যেই প্রতিপালন করিতেন । কৃষ্ণ প্রাণ রাধিক ও ভূবনমোহন কৃষ্ণের অসামান্ত ৰূপলাবণ্যের বশীভূত হইয়t গুরুগঞ্জন ও লোকলজ্জ এবং ভয় প্রায় পরিত্যাগ করিয়tছিলেন ; আর নিরন্তর কৃষ্ণেরই ৰূপলাবণ্য বর্ণনা করিয়া মনোমত কৃষ্ণের সহিত স্বরতরঙ্গে বিহার করিতেন। অনান্তর এক দিবস রাখালগণ সঙ্গে রামকৃষ্ণ গোচরণ করি তেছেন, এমন সময়ে বৃষভ নামক এক মহ মুর, রামকৃষ্ণের প্রাণ সংহার কামনায় গোকুলে হঠাৎ উপস্থিত হইল । সেই রাজত পৰ্ব্বতকর মহাসুরের ভীষণ বদন দর্শণ করিয়া গো এবং গোবৎস প্রভৃতি পশুগণ প্রাণভয়ে পলায়ন করিতে লাগিল। মৃগেন্দ্র ভয়ে মৃগগণ যেমন প্রাণপণে পলায়ণ করে, সেই দুরাত্মা অমুরের ভয়ে গোকুলবামীগণ দিক বিদিক ধাবন করিতে লাগিল । গোকুলবাসী সকলকে বিশৃঙ্খল ভাবে প্রাণভয়ে পলায়িত দেখিয়া কৃষ্ণ সেই অসুরের প্রতি ধাবিত হইলেন। কৃষ্ণকে সম্মুখবর্তী দেখিয়া বৃষভাস্কর ততোধিক রোষপরবশ হইয়। 意。