পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় । *○○ এই কথা শুনিয়া রাজমহিষী সসন্ত্রমে গাত্রেণথান করত জিজ্ঞাস করিলেন, মহারাজ ! সেন্ধপ কি পুনৰ্ব্বার আমাদিগের দৃষ্টিগোচর হইবে ? রাজা বলিলেন, প্রেয়সি তা অবশ্যই হইবে ; ঈশ্বরবাক্যের কখন কি অন্যথা হয় ? তখন রাজ্ঞী, একান্ত আনন্দিত হইয়া কহিলেন, হে রাজন ! তাহার পর আশ্চর্য্য শ্রবণ করুন। আমি সে কন্য - টিকে দর্শন করিতেছি, এমন সময় এক জন হংসবাহনে আগমন করিলেন। তিনি চতুৰ্ব্বদন ; অচিরোদিত ভূর্য্যের ন্যায় অরক্ত কান্তি। তিনি আমার গর্ভস্থ কন্যাকে প্রদক্ষিণও অষ্টাঙ্গে প্রণাম করিয়। চতুমুখে কতই স্তব করিলেন; আবার নয়ন নিৰ্মীলনপূর্বক কিয়ৎকাল স্থাখুবৎ অবস্থান করিয়া, পুনর্বার প্রদক্ষিণপ্রণামান্তে প্রত্যাগমনেচ্ছায় কতিপয় পদ দূরস্থ হইয়া,নিজ বাহনে আরোহণ করত,উৰ্দ্ধ পথে গমন করিবেন, ইত্যবসরে নীলকান্তমণির স্যায় একটা অপূৰ্ব্ব জ্যোতি গগণমণ্ডলে উদিত হইল, এবং দেখিতে দেখিতে সেই জ্যোতিঃপ্ররোহ বিস্তীর্ণ হইয়া ক্ষণমাত্রেই দেশ ব্যাপ্ত করিল ; তাহাতেই তত্ৰত যাবর্দীয জল, স্থল, বৃক্ষ, বনস্পতি, সকলেরই স্ব স্ব বর্ণ আবৃত হইয়া কেবল উজ্বল নীল বর্ণই জগন্ধক রহিল। যে দিকে দৃষ্টি সঞ্চার করি, সেই দিকেই নীল প্রভা দর্শন করিতে লাগিলাম। তখন চমৎকৃত হইয়া মনে করিলাম, হংসাৰূঢ় দেবতার উৰ্দ্ধপLথ গমন জন্যই বা এইপ্রকার হইল। এই ৰূপ সন্দিহান হইয়। দেখিলাম, সেই চতুমুখ দেবতা য়ে স্থান’হইতে হংস বাস্থনে আরোহণ করিয়াছিলেন, সেই স্থানেই অবরোহণ করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে উৰ্দ্ধ