পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీ: # মহাভাগবত । বিচিত্র ধড়া ও তদুপরি কিঙ্কিনীজাল, চরণে রতনময় নুপুর হায়! কি অপুর্ব শোভা, অন্তরীক্ষে উপস্থিত অমরগণ সেই শোভা দর্শন করিয়া স্বীয় স্বীয় জন্মের সফলতা এবং কতই কৃতার্থতা স্বীকার করিতে লাগিলেন। যশোদা রোহিণীকে সাধুবাদ প্রদান করিয়া তাহদের মস্তকোপরি পুষ্পবৃষ্টি করিতে লাগিলেন । রামকৃষ্ণকে যদিও সৰ্ব্বদা দেখিতেন, তথাপি সে সময়ে সুসজ্জীভূত দেখিয়া যশোদা রোহিণী অনন্দে অধীর ও মুগ্ধ প্রায় হইলেন । এই সময়েই রামকৃষ্ণ ৰহিরাঙ্গনে আসিয়া যে স্থানে নব নব গোবৎস সকল ইতস্ততঃ সঞ্চরণ করিতেছে, স্বয় স্বীয় বৎসকে নিরক্ষণ করত ধেনু সকল চৰ্ব্বিত চৰ্ব্বণ করিতেছে, তন্মধ্যেই উপস্থিত হইলেন। কৃষ্ণ বলিলেন ভ্রাত ! ঐ দেখ জননীদ্বয় আমাদের সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় আসিয়া মধ্যম দ্বারপাশ্বে দণ্ডায়মান রহিয়াছেন । পুত্র বাৎসল্যে বাধিত হইয়া আমাদের রূপ হইতে অক্ষিযুগলকে প্রতিনিবৃত্ত করিয়া অন্তঃপুর মধ্যে ও যাইতে পারেন না ; আবার কোন অপরিচিত জনসমাগমের শঙ্কাতে বহিরঙ্গনেও অসিতে পারেন না । অতএব আসুন, বিপিন বিহারের ত্রিভঙ্গ ভঙ্গিৰূপ দেখাইয়৷ জননীদ্বয়ের জন্ম সফল করা যাউক ; এই বলিয়া উভয়ে পরিমিলিত হইয়। ত্রিভঙ্গ ভঙ্গিতে দণ্ডায়মান হইলেন। এই সময়ে অক্রুর আসিয়া নন্দের বহিদ্বর্ণরে উপস্থিত হইলেন, কিঞ্চিৎ অগ্রসর হইয়াই, রামকৃষ্ণের ঐৰূপ ৰূপ দর্শন করিয়া প্রথমত বিস্ময়াপন্ন হইলেন, মনে করিতে লাগিলেন হায়! একি আশ্চর্য্য মূৰ্ত্তি ? জন্মাবধি এমন ৰূপ কখনই দর্শন করি নাই একি মনু