পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। Q6t করেন, পুনর্বার চক্ষু নিৰ্মীলন করিয়া নিশ্চল স্থাণুর ন্যায় অবস্থান করেন । বারম্বার ঐ প্রকার করত সেই চতুৰ্ব্বাছ দেবতার কতই ভাবোদয় হইল, তাহ বাক্যতীত। তাহার কমলনয়নের প্রেমধার তে উরঃস্থল ভাসমান হইয়া গেল । হয় ; সে সময়ে আমি কি অনিৰ্ব্বচনীয় শোভা দর্শন করিয়াছি ! মহারাজ ! কি প্রকারেই বা সে শোভা আপনার হৃদয়ঙ্গম করাইব । বিশুদ্ধকনককান্তি, “আমার । সেই কষ্ঠ রে সমীপে নবনীর দশ্যামসুন্দর সেই দেব যখন স্থিরাবস্থান করিতে লাগিলেন, তখন বোধ হইল যেন, নবীন শস্যে পরিপূর্ণ ক্ষেত্রের পাশ্ব দেশে মণিরজিবিরাজিত কাঞ্চনগিরিবর বিরাজ করিতেছে কি তমালবনশ্রেণীতে নবেদিত ভানুকোটির কিরণম্পর্শ হইল ? কি নিবিড় নীরদ রাশিতেই শশিকোটির উদয় হইল ? প্ৰাণেশ্বর । ইহাকে কি বলিলে যে অন্তঃকরণের তৃপ্তিলাভ হইবে, তাহা বলিতে পারি না ; ফলতঃ সে সৌন্দর্য্যের উপমেয় ত্রিলোকে দুর্লভ। সেই নীলকান্তি দেবতা অনেক নতি স্তুতি করিলে পর, অামার কন্যাটী সহাস্থ্য বদনে কছিলেন, হে কমলাকান্ত ! তোমাদের প্রতি আমি সত্যই অনুকুল অাছি ; অতএব, আমার অংশশক্তি কমলা : সরস্ব তীকে তোমাতে, আর সাবিত্রীকে ব্রহ্মাতে, অপর্ণ করিয়াছি। এইৰূপ করুণাপূর্ণ বাক্যে কৃতাৰ্থম্মষ্ঠ সেই কমলাকান্ত অমনি অবনত শরীরে কহিলেন, হে সৰ্ব্বশক্তিময়ি জননি! এই ত্রিলোকমধ্যে আপনার শক্তি ভিন্ন আর কিছুই তো