8 ○8 মহাভাগবত । রাস্ট্রির ফুলশয্যা অতি পরিপাটা হইয়াছিল, যদিও পুঙ্গাভরণগুলন অতি চমৎকার সৌগন্ধাযুক্ত ও নয়ন-মনপ্রীতিকর হইয়াছিল, তথাপি তাহ প্রাণবল্লভ কৃষ্ণের সেই পরমসুন্দর নব-নীরদ-শ্যামল-দেহের কোনমতেই উপযুক্ত হয় নাই ; অতএব অদ্য সেই অনঙ্গবিজয়ী শ্যামসুন্দরের উপযুক্ত, এক পুষ্পহার আমি গ্রন্থন করিব। এইৰূপে বিলাসিনী রাধ যখন এক স্তে বসিয়া চিন্তা করিতেছিলেন, তখন চিত্র নামী তাহার এক সহচরী ধীরগমনে তথায় উপস্থিত হইলে, রাধিক তাহাকে দেখিয়া সহস্যবদনে কহিলেন, সখি চিত্রে ! আমিও এইমাত্র তোমায় আহান করিব মনে করিতেছিলাম, আর অমনি তুমিও এখানে আসিয়া সমুপস্থিত হইলে ; যদি সকল সময়েই এইৰূপ মনোমত ঘটনা সংঘটন হয়, তবে অণর চিন্তা কি ? তখন চিত্রা কহিল, হে রাজনন্দিনি ! তুমি শ্ৰীকৃষ্ণের প্রাণ, যোগীন্দ্র মুনীন্দ্রগণ অজ্ঞানান্ধকার দূর করত যোগদৃষ্টিদ্বার সাহাকে দর্শন করেন ; ধ্যান, ধারণা ও সমাধিরও যিনি ভুল ভ, সেই ভগবান কৃষ্ণও তোমার শ্ৰীচরণপ্রাথ। হইয়া নিরন্তর তোমায় চিন্তা করেন –তোমার ৰূপ ও প্রেম ধ্যান করেন, তাহাতে আমি তোমার দাসীমাত্র, কেবল বোধ হয়, পূর্ব গুণফলে নিরস্তর তোমার শ্ৰীচরণ সেব। করিতেছি—তোমার চরণাছায়ায় আশ্রয় লইয়া আছি । অতএব আমি এখন সহসা ঐ শ্ৰীচরণপ্রান্তে আসাতে তোমার আর কি অভীষ্ট পূর্ণ হইল ? তখন শ্ৰীমতী কহিলেন হে সহচর। আমি অদ্য বিশেষৰূপে শ্ৰীকৃষ্ণের পূজা ও সেবা
