পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিপঞ্চাশত্ৰুমোধ্যায়। 8 ఫి মানে দধি দুগ্ধ ও ঘৃতাদির আহরণ ও আয়োজনের আদেশ করিয়ছি । নন্দরাজের এতাদৃশ নিষ্ঠর বচন আকর্ণন করিয়া যশোদার চেতনা বিলুপ্তপ্রায় হইল, তিনি ক্ষণ কাল অবাক্ ও নিশ্চেষ্ট হইয়া রহিলেন, এবং রোহিণী, ভীত ও রোষ পরবশ হইয় হস্ত প্রমণরণ করত নন্দের ক্রোড়দেশ হইতে সত্বর রামকে নিজাঙ্কে গ্রহণ করিলেন। রোহিণীর ঈদৃশ কার্য্য দর্শনে যশোদা মনে মনে তর্ক বিতর্ক বরিতে লাগিলেন যে, যদিও পতি পরম পূজনীয় ও সেব্য, যদিও তাহর আঞ্জায় ভাল দের প্রদর্শন কর। নিতান্ত অন্যায় ও পাপজনক ; তথাপি তিনি নিরপরাধে দস্থ্যর ন্যায় দৌরাত্ম্য করিয়। প্রাণ নাশ করিতে উদ্যত হইলে, কেনই বা অামি নিস্তব্ধ থাকিব ? এই রাম কৃষ্ণই আমার জীবন, সুতরাং ইহাদের সহিত ক্ষণকাল বিযুক্ত হইলে আমার প্রাণ প্রয়ণ হইবে । আমি ইহুদিগের মুখচন্দ্র নিরীক্ষণ- ব্যতিরেকে জীবন্মত জ্ঞান করি। এইৰূপ চিন্তা করিয়া তিনি সহযে নির্ভর করত কোপবশে, ঈষৎ কষায়িত সজলনয়নে কহিতে লাগিলেন, গোপন থ ! অামি আপনার নিতান্ত অজ্ঞ করিণী ও অধিনী বলিয়। এতদ্রপে আমার প্রাণ বিনাশ করই ভবাদৃশ ব্যক্তির পক্ষে কি শ্ৰেয়ঃ ? হে স্বামিন্‌! আমি বিনীত ভাবে নিবেদন করিতেছি, আপনি কদাচ অ!র ও কথার উথ - পন বা প্রস্তাব করিবেন না ; তাহ হইলে সঁজা প্রতিপালন করা দূরে থাকুক, কেবল লোক বিগহিত্ব কার্য্যই