পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ२७ মহাভাগবত ৷ ” আমি তোমা ব্যতিরেকে তাহ আসার ও ক্লেশকর বোধ করি । তোমা অপেক্ষা ব্রহ্মাণ্ডের তাবৎ ধনসম্পত্তি আমার ধন বলিয়াই বিবেচনা হয় না, এবং আমি তোমা ব্যতিরেকে সে ধন সম্পত্তির লালসা বা অকিঞ্চন করি না । আমি তোমাকে বক্ষে ধারণ করিয়া ভিক্ষে{পজীবী অতিথগণের ন্যায় দ্বারে দ্বারে যাচ এণ করত অৰলীলাক্রমে দিন যাপন দ্বারা পরম সুখ ও আনন্দ অনুভব করিতে পারি, কিন্তু তোমার তিলমাত্র অদশন অামার নিতান্তই অসহ্য হইয়া থাকে। পলকমাত্র তোমাকে না দেখিতে পাইয়া যখন জগৎ শূন্য ও অন্ধকরময় বোধ হয়, তখন ( এই) দিবসএয় তোমা ব্যতিরেকে কি আমি সচেতন থাকিতে পারিব ? যাহা হউক, মধুপুর গমনে তোমার ঐকান্তিক বাসনা জানিয়। আর তাহার বিপরীতে কোন কথাই কহিব না বটে, কিন্তু বৎস! তথাকার সেই বিচিত্র নগরীর সৌন্দর্য্য দর্শনে ও নানা প্রকার প্রলোভনে প্রলোভিত হইয়। যেন এই দুঃখিনী জননীকে বিস্মত হইয়া থাকিও না, এখন আমার কেবল এইমাত্র অনুরোধ। এই বলিয়া নন্দরাণী সজলনয়নে নিরস্ত হইলেন। পরে রাম উত্থান করিলে কৃষ্ণ, সত্ত্বর যশোদার সুকোমল অঙ্কে উপবেশন করিয়া গদগদ স্বরে কহিলেন, মাতঃ ! অtমাকে নবনীত দাও, এই বলিয়া অঞ্জলি বদ্ধ করত হস্ত বিস্তার করিলেন। তখন যশোদা পরমানন্দে পাশ্বাস্থ পাত্ৰ হৰতে ক্ষীর সর ও নবনী লইয়া অতি যত্ন ও অাদর ‘