পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিপঞ্চাশত্তমোধ্যায় । 88食 স্থির থাকিতে পারিলেন না । তিনি তৎক্ষাৎ পুষ্পহার পরিহার করত বৃন্দাকে জিজ্ঞাসা করিলেন , বৃদে ! তোমাদিগকেও যে আবার বিষন্ন দেখিতেছি, ইহার কারণ কি ? যথার্থ বল ? তোমরা কি পুনর্বার গুরুজন কর্তৃক তিরস্থত হইয়াছ ? অথবা সেই প্রাণবল্লভ কৃষ্ণের আগমনবিলম্ব দেখিয়া এত বিমর্ষযুক্ত হইয়াছ ? তাহ শীঘ্র বল। তোমাদের এরূপ ভাব-ভঙ্গী দর্শনে আমার মনে নানান সংশয়ের উদয় হইতেছে । আমি উহার কারণ জানিবার নিমিত্ত অত্যন্ত উৎসুক হইয়াছি। অতএব আর কলবিলম্ব করিয়া আমার চিত্তকে অসুস্থ করিও না । ত্বরায় সমস্ত বৃত্তান্ত যথাযথ বর্ণন কর । অনন্তর সর্থীরা সকলে শ্ৰীমতীকে পরিবেষ্টন করিয়া উপবেশন করিলে, বৃন্দ কহিতে লাগিল, হে শ্ৰীমতি । তুমি সমস্ত রমণীকুলের শ্রেষ্ঠা, কুলকামিণীগণের যে সকল গুণ থাকা অবশ্যক, সে সকল গুণই তোমাতে একাধারে বর্তমান । তেলমার মহিমা কে বলিতে পারে ? এই জগতীতলে তুমিই সাক্ষাৎ লক্ষী। স্বয়ং কৃষ্ণই তোমাকে কেবল অবগত আছেন। আর তামিও তোমার পদসেবীকা, তোমার প্রমাদে আমিও তোমায় কিঞ্চিৎ অবগত হইয়াছি। তুমি পরমাসুন্দরী ও ধৈর্য্য এবং গাম্ভীর্য্যের একমাত্র আধার ও অতিশয় বুদ্ধিমতী । অতএব এখন যে বিষম অনর্থকরী বাক্য আমি তোমাকে কহিব, যদি সামান্য, রমণীগণের ন্যায় তাহাতে নিতান্ত অসহিষ্ণু না হইয়া বরং বোন উপায় উস্তাবনাদ্বারা তাহা হইতে নিষ্কৃতি পাইবার চেষ্টা