পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিপঞ্চ শস্তমোধ্যায়। 86: Vo পাশ্বে উপবেশন করাইলেন, তখন আমিও সুযোগ পাইয়া নানা কথার প্রসঙ্গে মধুপুর গমনের বিষয় জিজ্ঞাসা করাতে তিনি যে নিশ্চয়ই তথায় যাইবেন, এই ভাব প্রকাশ করিলেন । অণর যে তিনি এখানে আসিৰেন না এ কথাও তোমাদিগকে বিজ্ঞাপন করিতে আদেশ করিলেন। এই বলিয়া বিসখা নিৰু- স্তুর হওত দণ্ডায়মান রহিল । বিসখার নিকট হইতে এই সকল কথা শ্রবণ করিয়া কিয়ৎকাল সকলেই নিরুত্তর থাকিলে, জনৈক সখী বৃন্দাকে সম্বোধন করিয়া কহিল, বৃন্দে ? যদি সত্যই আমাদের গোপীনাথ ব্রজবালাগণকে অনাথিনী করিয়া মধুপুরে গমন করেন, তবে আর এ কুসুমশয্যা ও পুষ্পমালায় প্রয়োজন কি? অনুমতি কর, আমি এখনি ইহাদিগকে দূরে নিক্ষেপ করত নয়নান্তর করি। কারণ যাহার নিমিত্ত এই আয়োজন, তাহার বিরহে এ সকল লইয়া আমাদের আর কি প্রয়োজন ? বরং এ সল সম্মুখে দর্শন করিলে বিরহানল দ্বিগুণত্তর প্রজ্বলিত হয়। তখন বিরহব্যাকুলা বৃন্দা ও অপরাপর সর্থী সমবেতে ঐ মতেরই পোষকতা করিল। কিন্তু শ্ৰীমতী তৎকালে তাহাদিগকে নিবৃত্ত করিয়া কহিলেন, গোপীগণ! তোমরা আর কিছুকাল নিরস্ত থাক, দেখ ব্ৰজনাথ এখনও এই ব্ৰজধাম পরিত্যাগপূর্বক দেশস্তর গমন করেন নাই—তিনি এখনও এখানে আছেন। স্বতরাং অনেক আশাও আছে,—এই আশাম্বারা লোকে জীবিত থাকে। আর দেখ, ভার বিরহবাণে' এই সকল অনাথ কুলরমণীগণ যে একেৰারেই স্থতপ্রায় খৰেৰে –