পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিপঞ্চাশত্তমোধ্যায় । &సి সখিগণ ! দেখিতেছি যে, তোমরা সেই কুহুমহার এখান হইতে অন্তরিত করিয়াছ,—তাহ কর ; কিন্তু সেই যে কৃষ্ণ-গুণ-হার, যাহা অবিনশ্বর রূপে আমার হৃদয় কণ্ঠে শোভা পাইতেছে, তাহাত আর উন্মোচন করিতে পারিবে না। সেই হার যে এখন অধিকতর কষ্টদায়ক হইলেও তাহার কি প্রতীকার করিবে? দেখ সীমান্ত বন্যপুষ্প হার যাবৎ শুষ্ক না হয়, তাবৎ লোকে আদর ও যত্ন-পূর্বক তাহ ধারণ করে ; কিন্তু এত আর সেন্ধপ নয়। পাছে কোন দুৰ্বত্ত দেখিতে পাইয়া ঐ পরমোৎকৃষ্ট রমণীয় কৃষ্ণ-গুণহার বলপূর্বক আমাদের কণ্ঠ হইতে কাড়িয় লয়, এই ভয়ে আমরা পূর্বেই উহাকে হৃদয়মধ্যে অতি যত্নপূর্বক গোপন করিয়া রাখিয়াছি । কিন্তু এখন তাঁহাই এই সামান্ত কুসুম-হার অপেক্ষায় শত গুণে ক্লেশকর হইয়া উঠিতেছে। অহো ব্ৰজাঙ্গনাগণ ! আমাদের কি দুরদূষ্ট ? আমরা ঈদৃশ পরমধনে বঞ্চিত হইতেছি। হা বিধাতঃ ! তুমি কেন আমাদিগকে চির পরাধীনী-কুলকামিনী করিয়া স্বজন করত এই ৰূপে নিগঢ়াবদ্ধ করিলে ? তাহা না হইলে এমন সময়ে ত অনায়াসেই প্রাণনাথের সহিত মধুপুর গমন করিতাম। আহ ! সখিগণ! যখন আমরা কৃষ্ণ-কলঙ্কিনী বলিয়া আখ্যাত হইয়াছিলাম, তখন আমরা কুল-বন্ধন হইতে এক প্রকার মুক্তি লাভ করিয়াছিলাম। কিন্তু সখা কৃষ্ণ আবার কত যত্নে কত কৌশলে আমাদের সেই কলঙ্ক মোচন করিয়া অামা-- দের তৎকালোচিত কামনা পরিপূর্ণ করিয়াছিলেনু! কিন্তু