পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিপঞ্চাশত্ৰুমোধ্যায়। ৪৬৭ ক্ষণকালের জন্যও পরিত্যাগ করিতে পরিবনা। তৰে নশ্বর দেহে আমার অসহ্য বিরহতাপ কিঞ্চিৎকালের জন্য ইহাদিকে আপাতত সহ্য করিতে হইবে। এই বিবেচনা করিয়া শ্ৰীকৃষ্ণ ব্রজবালাদিগকে পুনর্বর কহিলেন, সখিগণ ! তোমরা কুলবধু, তোমাদের কুলমান রক্ষা করিবার জন্ত আমি ইতপূৰ্ব্বে কত ক্লেশ স্বীকার করিয়াছি, তাহা তোমরা বিলক্ষণ অবগত আছ। অতএব সম্প্রতি এই ৰূপ ভাব পরিত্যাগ করিয়া সত্বরেই স্ব স্ব আবাসে প্রস্থান কর। নতুবা তোমাদের গুরুগণ আগত প্রায়, সুতরাং এখনই সকলকে অভল লজ্জাসাগরে নিপতিত হইতে হইবে । আমি এই প্ৰাণেশ্বরী শ্ৰীমতীর গাত্র স্পর্শ করিয়া বলিতেছি যে, কিছুদিন পরেই তোমাদের সহিত শ্ৰীমতীকে দর্শন করিব। আমার বিরহ তোমাদিগের অত্যন্তই দুঃসহ বটে, কিন্তু সম্প্রতি তাহা হইতে নিষ্কৃতির উপায় বলিতেছি, অবধান কর । তোমরা অতি নির্জন স্থানে মুদ্রিত নয়নে আমাকে চিন্তা করলেই আমি তোমাদের হৃদয়মধ্যে উদয় হইয়া, তোমাদের বিয়োগভীত হৃদয়কে সুশীতল কfরব, ইহাতে অণুমাত্র ও সংশয় নাই। এই বলিতে বলিতে হরি, শ্ৰীমতীর গাত্র স্পষ্ট ধুলীরাশী কিয়ৎপরিমাণে গ্রহণকরত ধড়ার অঞ্চলদ্বারা বন্ধন করিলেন । পরে সকলেরই গাত্র এক একবার স্পর্শ করিয়া মধুরবাক্যে বারম্বার বলিতে লাগিলেন, প্রিয়তম গণ ! আর বিলম্ব করিও না, সহসাই এস্থান হইতে প্রস্থান কর । কৃষ্ণের, কোমল করতলের সংস্পৰ্শণলাভ করিয়া উহারী ভূখন যেন