পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুর্থ অধ্যায়। 8 : ণোদয় সময়ে গাত্রে থান করিয়া মানন্দচিত্তে কৃতশোঁচ কৃতাহিক হইয়া নৃপতি রাজকাৰ্য্য পর্য্যালোচনায় প্রবৃত্ত হইলেন। রাজমহিষী দার্সীগণ লইয়া গৃহধৰ্ম্মের চর্চা করিতে থাকিলেন । সতীর জন্ম । পরে কতিপয়দিনান্তরে দক্ষপত্নী প্রস্থতি শুভলগ্ন সময়ে একটী কন্যা প্রসব করিলেন । ঐ সময় দিক সকল সুনিৰ্ম্মল হইয়া সুগন্ধি বায়ু মন্দ মন্দ বহিতে লাগিল ; ঋতু সকল নিজ নিজ সময়ের শক্তি বিকাশ করত যাবদীয় সুগন্ধিপুল্প বৃক্ষকে পুষ্পিত করিলেন ; আলিপক্তি সকল છ૧ટુન শব্দে ইতস্ততঃ ধাবিত হইল ; এবং রসাল বৃক্ষের শাখায় পুংঙ্কোকিলদল পঞ্চম স্বরে গান করিতে লাগিল ; শিখিকুলশ্রেণী পুচ্ছ বিস্তার করিয়া নৃত্য করিতে থাকিল ; গগণমার্গে বিবিধপ্রকার শশ্বন্ধনি, ও ঘন ঘন পুষ্পবৃষ্টি হইতে লাগিল। সেই ত্রিলোকজননীর জন্মদিন যাবদীয় জীব জন্তুগণের অপরিমিত সুখহেতু হইল। অতঃপর ধাত্রী সদ্যঃ প্রস্থত সেই অপূৰ্ব্বৰূপিণী কস্তাকে গ্রহণ করিয়া বলিতে লাগিল, ওগো রাজমহিষি! মা! একবার গাত্রোথান করুন 2 যদিও প্রসব জন্য কিছু ক্লেশ হইয়া থাকে, সে ক্লেশ-এইক্ষণে নিবারণ হইবে, যে কন্যারত্ন প্রসব করিয়াছেন, একস্তাকে দশন করিলে বোধ হয় আর কখন দুঃখ ভাগী হইতে হয় না। ধাত্রীর বাক্য শুনিয়া সাহসড়রে রাজ্ঞী গাত্রে থান করত, নয়ন উমীলন করিয়া দেখিলেন, ধাত্রীর ক্রোড়ে যেন や