পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

६९ মহাভাগবত । কোটি চন্দ্রের উদয় হইয়াছে; প্রফুল্ল ইন্দাবরের ন্যায় আকর্ণ বিস্তৃত নয়ন ; প্রতপ্ত কনককান্তিও সে ৰূপের সোসাদৃশ্য হয় না। এইমত গৌরাঙ্গী, অষ্টবাহুতে বিভূষিত, অলৌকিকৰূপবতী, বদনারবিন্দ অতীব সুপ্রসন্ন, সেই প্রসন্নৰূপিণী কন্যাকে ধাত্রীর হস্ত হইতে রাণী নিজাঙ্কে লইয়া, নিনিমেষ লোচনে দশন করিতে লাগিলেন। অন্তঃপুরচারিণী দাসী গণ, দ্রুতপদে রাজসভায় গমন করিয়া মহারাজকে ঐ শুভ সংবাদ অবগত করাইলে, রাজা তৎক্ষণমাত্রেই অন্তঃপুর প্রবেশ করিয়া দেখিলেন, পুরবাসীগণ বিপুল পুলকান্বিত, হইয়াছে, অন্যান্য দিবসে রাজাগমনসংবাদে পুরবাসীগণ নিন্তব্ধ থাকিত,কিন্তু সেদিবস কেহ লক্ষ্যই করিল না; তাহতে রাজা বিবেচনা করিলেন, আমার তপস্যা অদ্য সফল হইয়াছে ; জগদম্বাই কন্যাৰূপে অবতীর্ণ হইয়া থাকিবেন; অতএব ইহারা তাহার রূপ দর্শন করিয়াই উন্মত্তপ্রায় হইয়াছে ; যখন কন্দপের দপহারী পঞ্চানন ঐ ৰূপ দর্শনে বিহাল হন, তখন ইহারা হইবে, সে আশ্চর্য্যই বা কি ? এই বিতর্ক করিতে করিতে সত্বরেই স্থতিকাগৃহের দ্বারদেশে উপস্থিত হইলেন। ভ্রভঙ্গি মাত্রেই কোষাধ্যক্ষ, পঞ্চ রত্ন আনয়ন করিলে, রাজা রত্ন লইয়া কন্যাটির মুখ দর্শন করিলেন । অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখিয়া তপস্যার সফলতা স্থির করিয়া, তাহার অাননদাশ্ৰুজলে ধরাতল অভিষিক্ত হইয়া গেল। কতিপয়ক্ষণ নিশ্চলচিত্তে স্থিরতর নয়নে দর্শন করত, মানসোপচারে পূজা,প্রদক্ষিণ ও বারংবার প্রণাম করিতে লাগিলেন। তখন অন্তর্যামিনী জগদম্বা বিবেচনা করিলেন, পিতা নিতান্তই