পঞ্চঞ্চাশত্তমোধ্যায়। 8b@ সহিত হস্তিনাপুরে বাস করিতে লাগিলেন। ইনি মহাবল পরাক্রান্ত, সৰ্ব্বশাস্ত্রজ্ঞ এবং ধনুর্বিদ্যাতে বিশারদ। তাহার অপর ভ্রাতু চতুষ্টয়ও ভীম পরাক্রম ছিলেন। এই পঞ্চ ভ্রাতার মধ্যে জ্যেষ্ঠ ধর্মের ঔরষ জাতক যুধিষ্ঠির নামে, মধ্যম পবন হইতে ভীম নামে, তৃতীয় ইন্দ্ৰপুত্র অর্জুন নামে, ইনিই বিষ্ণু, আর চতুর্থ ও পঞ্চম, অশ্বিনীকুমার হইতে নকুল ও সহদেব নামে বিখ্যাত ছিলেন । * ७ड़े পঞ্চ ভ্রাতা সকলেই মহাবল পরাক্রান্ত ও সকলেই ধৰ্ম্মনিরত এবং সত্যধৰ্ম্ম পরায়ণ ছিলেন । পঞ্চ পাণ্ডবেরা যৌবন প্রাপ্ত হইয়া রাজকাৰ্য্য পর্য্যালোচনা করিতেন। নিয়মানুসারে সর্ব জ্যেষ্ঠ যুধিষ্ঠিরই পৈত্রিক সিংহাসন প্রাপ্ত হইয়া, প্রজাগণকে অপত্য নির্বিশেষে প্রতিপালন করিতেন । ঐ পাণ্ডবগণের পিতৃব্য ধৃতরাষ্ট্র এবং দুর্য্যোধনাদি তদীয় পুত্ৰগণ, ও কর্ণ, এবং শকুনি, ইহারা উহাদিগের বিদ্বেষ্ট ছিলেন। মহাবলবন্ত ধাৰ্ত্তরাষ্ট্রগণের জ্যেষ্ঠ দুর্য্যোধন পাগুবদিগের বিশেষ দ্বেষ্ট ছিলেন, ও সৰ্ব্বদা তাহদের নিধনেরই চেষ্টা করিতেন। তিনি কখন বিয়দান, কখন অগ্নি প্রদান করিয়া উহাদের প্রাণ বিনাশের চেষ্টা করিতেন। কিন্তু পাণ্ডবদিগের ধৰ্ম্মবলে দুর্য্যোধনাদি তুরায়ণগণের সকল চেষ্টাই বিফল হইয়াছিল। তথাপিও সেই কুরমতি কিছুতেই নিবৃত্ত না হইয়া পুনঃ পুনঃ তাহদের অনিষ্ট চেষ্টা করিতে লাগিল। ক্ষত্ৰীয়কুলের ক্ষয়কারী দুর্য্যোধনের নিতান্ত দুৰ্ব্বদ্ধি ঘটিয়া উঠিল। যন্থপতি জরুতিখন অকু রকে ধৃতরাষ্ট্রের নিকট পাঠাইলেন। কৃষ্ণের অজ্ঞাক্ৰমে
