পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

**९ মহাভাগবত। কোপবশে পুনঃ পুনঃ ক্রীড়াশক্ত হইলেও ভঁছার নিরন্তর কেবল কপটতাবলে পরাজিত হইতে লাগিলেন। এইৰূপ ছলদ্বারা দুষ্টমতি দুৰ্য্যোধন ক্রমে ক্রমে পাওঁবদিগের সমুদায় সাম্রাজ্যই জয় করিয়া লইল। এত করিয়াও দুরাক্স। সন্তোষ লাভ করিল না। সে পুনর্বার বনবাস পণ করিয়া যুধিষ্ঠিরকে ক্রীড়ামুরক্ত করিল। সুতরাং ক্ষত্ৰীয় সন্তানকে যুম্বো-ও ফুতে প্রতিনিবৃত্ত হইতে নাই, এই ধৰ্ম্মভয়ে যুধিষ্ঠির অগত্যা তাহাতে সন্মত হইয়। পুনর্বার পরাজিত হইলেন । । তদনন্তর পুনর্বার কপট দ্যুতে প্ৰবৰ্ত্ত করিয়া ধৰ্ম্মরাজের প্রাণ সীমস্তিনী দ্রৌপদীকেও জয় করিয়া লইল । চুরাত্ম। দুৰ্য্যোধন, ঐ জয়লব্ধ রমণীরত্নকেও সামান্য ধনের ন্যায় ভাবিয়া দুঃশাসন দ্বারা তাহার কেশাকর্ষণ সহকারে সভামধ্যে আনয়ন পূর্বক অবমাননা করিতে লাগিল। পতিপরায়ণ পাঞ্চালী, তখন কৃষ্ণকে স্মরণ করিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। দুরাচারের সেই দারুণ কৰ্ম্ম দর্শন করিয়া সভাস্থ ভীম দ্রোণ প্রভৃতি মহাত্মার যৎপরোনাস্তি ক্ষুন্ধচিত্ত হইলেন। এবং মনে মনে চিন্তা করিতে লাগিলেন, যে এই কুলাঙ্গার হইতেই ক্ষত্ৰকুল নিৰ্ম্মল হইবে। এই বিবেচনা করিয়া তৎক্ষণাৎ রোষ প্রকাশ করিয়া উঠিলেন, এবং কোন মতে দ্ৰৌপদীকে শক্র হস্ত হইতে উদ্ধার করিয়৷ পাণ্ডবদিগকে সমপণ করিলেন। আর দুরাত্মা দুৰ্য্যোধন প্রভৃতিকে বারম্বার তিরষ্কার করিতে লাগিলেন। তদনন্তর পাণ্ডবগণ সকলে ভ্ৰষ্টরাজ্য হইয়া প্রতিজ্ঞ সগর হইতে উত্তীর্ণ হইবার