পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 মহাভাগবত । আগমন করত দেখিলেন, নানা দেশীয় লক্ষ লক্ষ দীন দরিদ্র গণ উপস্থিত হইয়াছে, তখন শুদ্ধাসনে আসীন হইয়। প্রথমতঃ কুলদেবতা, গ্রাম্য দেবতা, আর বেদবেত্ত দ্বিজোত্তম ব্রাহ্মণদিগের উদেশে দান করিয়া, ধন সকল পাত্রস (২ করিবার অজ্ঞা করিলেন । তদনন্তর অমাত্য বন্ধুবৰ্গকে বলিলেন, হে বন্ধুগণ ! তোমরা হাস্যবদনে যথেচ্ছাক্রমে রত্নাদি বিতরণ, করিয়া অর্থিগণের পরিতোষ কর । আজ্ঞামাত্রে অম ত্যগণ ঐ প্রকার করতে দক্ষপ্রজাপতি অতীব হৃষ্টাত্ম। হইয়া মহামহোৎসব সম্পন্ন করিলেন । কন্যালাভে পরম হর্ষান্বিত সেই দক্ষ প্রজাপতি, দশম দিবুসে বন্ধুগণে সংশ্লিষ্ট হইয়া, সেই কন্যাটির “সতী” এই নাম রাখিলেন । পিতৃমন্দিরে সর্তী দিন দিন বৰ্দ্ধিতা হওত-বর্ষ সময়ের সুরনদীর ন্যায়, এবং সরৎকালের শুক্ল পক্ষীয় চন্দ্রিকার ন্যায়, প্রতিদিন নবনব চারুতাকে ধারণ করিতে লাগিলেন । একদা দক্ষ প্রজাপতি, রুচির বদন। কন্যাকে বিবাহযোগ্য দেখিয়া চিন্তা করিতে লাগিলেন, আমার এই কন্য। তো সামান্য নন, ইনি পরম প্রকৃতি, জগদম্বিকা ; ইনিই ত্রিজগৎ সংসারকে প্রসব করিয়াছেন, ক্ষীরোদ সমুদ্রের তটে, আমি বহুকাল তপস্যা করতে, ইনি প্রসন্না হইয়া বরদানের নিমিত্ত অবিভূত হইলে, “আমার কন্যা হইয়া জন্ম লাভ করুন , এই বর প্রার্থনা করায়, ইনি স্বয়ংই বলিয়াছেন, “আমি তোমার কন্যা হইয়া মহেশপত্নী হইব, , এবং অতিপূর্বকালে উগ্রতপস্যার দ্বার। মহেশ্বর ইহাকে পত্নীভাবে প্রার্থনা করিলে, ইলি ভধাস্তু ” বাক্যে