সপ্তপঞ্চাশত্তমোধ্যায়। , و e A ভাবে থাকিয়া বরদানে উন্মুখী হইয়া বলিতে লাগিলেন। হে পাণ্ডবগণ ! তোমাদের স্তবে আমি পরিতুষ্ট হইয়াছি। আমার প্রসাদে তোমরা শক্রগণকে সমরশায়ী করিয়া পুনর্বার এই নিষ্কণ্টক রাজ্য প্রাপ্ত হইবে। ভূমি-ভার হরণার্থ এবং তোমাদের জয় লাভের নিমিত্তই আমি বাস্থদেবৰূপে লীলাক্রমে জন্মগ্রহণ করিয়াছি ; অর্জুনের কপিধ্বজ রথে সারথি হইয়া বাসুদেবৰূপে তোমাদিগকে রক্ষণ করিব, ইহাতে সংশয় নাই। তোমরা আমার যে স্তব করিলে যে ব্যক্তি অামাকে এই ৰূপে স্তব করিবে সে অবস্থাই জয় লাভ করিবে । বেদব্যাস বলিতেছেন, মহারথ পাণ্ড,পুত্ৰগণ এই প্রকার বর প্রাপ্ত হইয়া নিশ্চয় জানিলেন যে আমরা জয়ী হইব । তখন র্ত হাদের বদনগরবিদসকল সবিশেষ সুপ্রসন্ন হইল । পুনর্বার স্বীয় স্বীয় রখে উত্থিত হইয়া পৃথক পৃথকৃ শঙ্খনিনাদ ও সিংহ নাদ করিতে লাগিলেন। মহাবলী বাস্থদেবও অৰ্জ্জুনের রথে উপবিষ্ট হইয়া, বরম্বার উাহার পাঞ্চজন্য শস্থের ঘোরতর রব করিতে লাগিলেন ; এই সকল শব্দে পৃথিবী কম্পান্বিত হইতে থাকিল ; এবং জগৎ সংসার ক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল। ধৃতরাষ্ট্রপুত্রের সেনাগণ প্রায় সকলেই বিষগ্নমনা হইল, ভীষ্ম মহাশয়, যিনি অদ্বিতীয় রথী, তিনিই ফুৰ্য্যোধনের সেনাপতি হইলেন। ভীষ্মের উপর বিদ্বেষ বশতঃ মহামতি কৰ্ণ অস্ত্ৰ শস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া ঈষাপরবশ হইলেন ; অযুত হস্তীর বল-• ধারী কালান্তক যমসদৃশ ভীমসেন পাণ্ড সেনর অধ্য
