পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२ * মহাভাগবত । বলুন। তখন মহাদেব বলিলেন, বৎস! শ্রবণ কর, পূর্ব কালে বৃত্র নামে এক মহাবলপরাক্রান্ত অস্থর ব্রহ্মার প্রদত্ত বরে উক্তি হইয়া দেবতাগণকে পরাজয় করত স্বয়ং ইন্দ্ৰ হইল, এবং চন্দ্র, সুর্য্য, অগ্নি, বায়ু, কুবের, যম, ও বরুণ এই সকলের অধিকার গ্রহণ করিয়া স্বর্গ, মৰ্ত্ত পাতাল এই ত্রিলোকমধ্যে একাধিপত্য স্থাপন করিল, অমরেন্দ্ৰসকল স্বীয় স্বীয় পদচ্যুত হইয়া দুর্দশা-সাগরে মিময় হইলেন । এই সময়ে দেবগুরু বৃহস্পতি অত্যন্ত গুপ্তভাবে ইন্দ্রকে বলিলেন, দেবরাজ ! তুমি গুপ্তভাবে ব্ৰহ্মলোকে গমন কর ; তিনি অসুরদিগকে কদাচই অমর বর প্রদান করিবেন না, অবশ্বাই বধোপায় নিৰ্দ্ধারিত করিয়া থাকিবেন । পুরন্দর এই উপদেশ প্রাপ্ত হইয়া সংগোপনে ব্ৰহ্মার শরণাপন্ন হইয়া জানিলেন যে, দধীচি মুনির অস্থি দ্বারা যদি বজ্ৰ নিৰ্ম্মাণ হয়, আর সেই বজু লইয়া ইন্দ্র যদি বৃত্ৰাসুরের বক্ষঃস্থলে প্রহার করিতে পারেন, তবেই বৃত্ৰাসুর বিনষ্ট হইবে ; নতুবা তাহার মরণ নাই। এই মুদারুণ গুস্থ সংবাদ বিধাতার নিকট প্রাপ্ত হইয়া ইন্দ্র অতিভয়ে কাতরভাবে দধীচি মুনির নিকটে যাত্রা করিলেন। ত্রিলোকের পরিত্রাণ হেতুক উtহার অস্থি ভিক্ষা করিবেন, অভিলাষ করিয়া, দধীচি মুনির অগ্ৰে উপস্থিত হইয়া সাষ্টাঙ্গ প্রণাম পুৰ্ব্বক কৃতাঞ্জলিপুটে জিজ্ঞাসা করিলেন, মৃনে ! আপনকার আশ্রমের কুশল ? দধীচি মুনি ইন্দ্রকে দেখিয়া সসম্ভমে গাত্রে থান করত আসন প্রদান করিলেন এবং সমাদর পূর্বক স্বাগত জিজ্ঞাসা করিয়া কহিলেন,