পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*७७२ মহাভাগবত । আমি সেই অপুর্ব শুনিয়া বিস্ময়াবিশিষ্ট হইয়া উহাদের সহিত এই স্থানে সুদুললাম। হে বিভো! আপনি অবশ্বই তাহার পুর জার্ন, সেই হেতুক আপনি আমাদিগকে সঙ্গে লইয়া দেবীপুর দর্শন করান। এই মহাবাহু ইন্দ্র এত্রিলোকের ঈশ্বর ইনি যদি মহাপাতকযুক্ত হন, তবে কি প্রকারে জগজয় রক্ষা কয়িবেন । এই কথা শুনিয়া মহাদেব বলিলেন, হে মধুসুদন ! তোমরা সেই স্থানে আগমন কর, আমি সেই পুর দর্শন করাইব ; এবং সেই দেবীকেও দেখাইব। এই বলিয়। তৎক্ষণমাত্রেই নন্দীকে বলিলেন, নন্দিন ! শীঘ্র বৃষসজ্জা করিয়া দাও, আমি সেই রত্নপরিস্কৃত কালীপুর গমন করিব। প্রভুর আজ্ঞা প্রাপ্ত হইয়া নন্দী তৎক্ষণেই তাহা করিলেন। স্কুরোত্তম মহাদেব নিজবাহন বৃষরাজের পৃষ্ঠে ; বিষ্ণু পতগরাজ পৃষ্ঠে ; ইন্দ্র বায়ুবেগগামিবিমানেপরি ; ব্রহ্মা মণিরঞ্জিত পুষ্পকরথে আরোহণ করিয়া গগণপথে চলিলেন ; আর তাহার। পরস্পর এই কথা কহিতে লাগিলেন, যে সেই মহামহেশ্বরীই পরাৎপর ; তিনিই মহাকাল সেই মহাকালীর পরতর আর কিছুই নাই। সেই মহেশ্বরীই জগৎ স্বষ্টি করেন, সকল বিপদ হইতে জগৎকে রক্ষা করেন ; আবার অন্তে বিশ্বসংসারকে সংহারও করেন। আমরা তিন নিমিত্ত মাত্র। র্তাহার এই প্রকার কথা কহিতে কহিতে সুরলোক সকল অতিক্রম করিয়া ব্রহ্মকটাহ বিভেদ করিয়া ব্ৰহ্মাণ্ডগোলকের বহিদেশে গমন করিলেন। শঙ্কু অগ্রে অগ্ৰে চলিলেন ; উহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ বিষ্ণু প্রভৃতি তিন । বহুকাল গমন করিয়া মহাকালীর নগরী