পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায় । 鱼° এই ভীমকৰ্ম্ম রুদ্রগণকে সৰ্ব্বদাই স্ববশে রক্ষা করিবে। তখন পিতার আজ্ঞা প্রাপ্ত হইয়া আমি তাহাই বিধান করিলাম । তদনন্তর দেখিলাম, এই ভীমকৰ্ম্ম রুদ্রগণ সকলে শান্তৰূপে আমার বশীভুত হইয়া থাকিলেন ; তদবধি মহাদেবের প্রতি আমার অবজ্ঞার অঙ্কর হইল। মহর্ষে যে শিবের অংশসম্ভ,ত এই ভীমপরাক্রম রুদ্রগণ, আমার আজ্ঞার বশীভূত, সেই শিবের আবার অামা হইতে শ্রেষ্ঠত্ব কি ? আমার সুতী কন্যা । তাঙ্গ আপনি সকলই অবগত অাছেন । সে কষ্ঠার অনুৰূপ বরপত্র কি ঐ কুৰূপ বিৰূপক্ষ ? যথাযোগ্য পাত্রে বিধিপূর্বক যে কষ্ঠ দান, সেইটি পুণ্যকরি হেতু হয় ; এই নিমিত্ত বন্ধুবগের সহিত পাত্রের কুল, শীল এবং ৰূপ গুণ বিচার করিয়া বিচক্ষণ ব্যক্তির কন্যা দান করেন । এই সকল বিচার করিয়াই তো সতীর স্বয়ম্বরসভাতে কুলশীলবর্জিত ঐ ভুতপতিকে নিমন্ত্ৰণ করিলাম না। মহর্ষে ! শ্রবণ করুন, যাহা আমার মনোগত ভাব, আপনার নিকটে প্রকাশ করিয়া বলিতেছি ; যাহার অংশসম্ভত সেই মহারুদ্রগণ আমার বশবৰ্ত্ত রহিয়াছে, সেই শম্ভ, যে পর্য্যন্ত আমাকে আক্রমণ না করিবেন, সে পর্য্যন্তই তঁ হাতে আমার বিদ্বেষ থাকিবে; একথা সত্য বলিতেছি, যদবধি মহৰদেব এই বিদ্বেষের প্রতিফলদানে সক্ষম না হইবেন, তদবধি আমার পূজনীয় হইবেন না, এই প্রতিজ্ঞ দৃঢ়তর জানিবেন। দক্ষের এই প্রকার বাক্য শুনিয়া-দধীচি মুনি মনে মনে চিন্তা করিতে লাগিলেন, হায় ! এই মৃঢ়বুদ্ধি প্রজাপতি