পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । や? কfরলেন । এই সকল প্রকারে মেনকার একান্ত ভক্তি দেখিয়া, শঙ্করগেহিনী সতী বলিলেন, মা গিরিপত্ত্বি ! তোমার সেবাতে আমি সন্তুষ্ট হইলাম, অতএব অঙ্গীকার করিতেছি, “এই দেহাবসানেই তোমার কষ্ঠ হইব, ইহাতে সংশয় নাই।” সতীর এই বাক্যে মেনকা সাতিশয় হৃষ্টচিত্ত হইয়া নিজালয়ে গমন করিলেন, কিন্তু রাত্রিন্দিবই সতীকে ধ্যান করিতে লাগিলেন । নৈমিষারণ্যবাসী কুলপতি সোনক সুতকে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে স্থত ! তোমার মুখপদ্ম হইতে বিনিঃস্বত বাক্যের প্রতিপদেই আমরা পরিতৃপ্ত হইতেছি, সম্প্রতি জিজ্ঞাসা করি, সেই শিব-দ্বেষ্ট দক্ষপ্রজাপতি অতঃপর কি করিলেন, তাহা কীৰ্ত্তন করুন। তখন কৃতাঞ্জলিপুটে স্থত কহিলেন, মহর্ষে ! তবে শ্রবণ করুন। নারদের দক্ষালয় গমন ও দক্ষের যজ্ঞ করিবার মন্ত্রণ | মোহান্ধকারে জ্ঞানচক্ষুবিহীন সেই দক্ষপ্রজাপতি সকলের নিকটে শিবনিন্দ করেন, মহাদেবও উহাকে শ্বশুর বলিয়া সম্মান করেন নাই। এই প্রকারে তঁহাদের দুই জনের অপ্রণয় দিন দিন উৎকট হইতে থাকিল ; ইতিমধ্যে একদিবস ব্রহ্মার পুত্র নারদ যদৃচ্ছাক্রমে সমাগত হইয়া দক্ষপ্রজাপতিকে বলিলেন, হে প্রজাপতে তুমি সৰ্ব্বদা শিবনিন্দ কর, সেই জন্য মহাদেব ক্রুদ্ধ হইয়া তোমার প্রতি যে প্রকার ইচ্ছা করিতেছেন, তাহা শ্রবণ কর ; ভূতগণের সহিত তোমার পুরপ্রবেশ করিয়া, তিনি নিশ্চয় ভস্মান্থি