yశి মহাভাগবত । করিতে গমন করেন, তবে আপনাকে প্রতিষেধ করিতে আমার ক্ষমতা কি ? অতএব অতিমোহ প্রযুক্ত যাহা আমি উক্ত করিয়াছি, তাহা আত্মপতিজ্ঞানে দেশষ মার্জনা করিবেন; আর, যজ্ঞ দর্শন বিষয়ে আপনার যে প্রকার অভিৰুচি কয়, তাহাই করুন । কালীৰূপ সতীর দক্ষালয়ে গমন । মহেশ্বর কর্তৃক এই প্রকার কথিত হইলে, জগদক্ষিক ঈষদ্ধাস্য করিয়া কহিলেন, হে মহেশ্বর! তুমি প্রমথগণের সহিত এইস্থানে অবস্থান কর, আমি পিতৃ গৃহে সম্প্রতি যজ্ঞ দর্শনে গমন করি । এই কথা বলিয়া সেই মহাদেবী এবং উৰ্দ্ধভাগে অবস্থিত ষে তারা, এই উভয়েই একৰপা হইলেন ; আর অন্তৰন্ত যত মূৰ্ত্তি ছিল, তাহারা সকলেই অন্তৰ্দ্ধান করিলেন । অনন্তর সুরেশ্বরীকে একান্তত গমনোদ্যোগিনী দেখিয়া শস্তু স্বকীয় প্রমথগণশধ্যক্ষকে বলিলেন, হে গণমাধ্যক্ষ সত্বরেই সেই রখানয়ন কর, যে রথ অযুত সিংহে সঞ্চালন করে, এবং কোটি কোটি প্রকার রত্নমালাতে বিভূষিত। শিবের আজ্ঞামাত্রেই গণমাধ্যক্ষ নন্দী সেই পৰ্ব্বত সন্নিভ, রত্নমালা শোভিত, রথকে আনয়ন করিলেন ; সেই বৃহৎকায় রথ নানাবিধ পতাকাতে শোভিত, প্রবল পবনের স্তায় বেগবান, এবং অযুত সিংহে সংবহন করিতেছে। প্রমথাধিপতি নন্দী এই অপুৰ্ব্ব রথ আনয়ন করিয়া, শুমাৰূপিণী দাক্ষায়ণীকে আরোহণ করাইলেন ; কালীৰূপধারিণী সতী রথোপরি বিরাজমান হইয়া গম্ভীর ও ভয়ানক ৰূপে দীপ্তি প্রকাশ করিতে লাগি
