পাতা:মহাভারতীয় বৃহৎ ভীষ্মপর্ব্ব - কাশীরাম দাস.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভীষ্মপর্ব্ব।
২৯

পুত্ত্র রহে তার পাছে। ঘটোৎকচ মহাবীর রহে তার কাছে॥ প্রতিব্যূহ করি সবে উঠানি করিল। বিবিধ বিধানে বাদ্য বাজিতে লাগিল॥ নানা অস্ত্র লইয়া আস্ফালে সব যােধ। পরস্পর দুই দলে লাগিল বিরোধ॥ যুদ্ধ হয় নানা অস্ত্র ধরি দুই দলে। বিদ্যুৎ চমকে যেন গগণ মণ্ডলে॥ শঙ্খনাদ সিংহনাদ গজের গর্জ্জন। যুগান্তের যম যেন করিছে তর্জ্জন॥ দেখিবার কার্য্য থাক কর্ণে নাহি শুনি। পরাপর নাহি জ্ঞান অস্ত্রে হানাহানি॥ অশ্ব গজ পড়িল পদাতি বহুতর। দেখিয়া ক্রোধিত হৈল ভীষ্ম বীরবর॥ বাসব হইতে যুদ্ধে ভীষ্ম নহে ঊন। হাতেতে ধনুক ধরি টঙ্কারিল গুণ॥ যতেক পাণ্ডবদল সমরে প্রচণ্ড। শরেতে কাটিয়া ভীষ্ম করে খণ্ড খণ্ড॥ কার কাটে অশ্ববর কার কাটে গজ। কাহার সারথি কাটে কার কাটে ধ্বজ॥ কাহার মুকুট কাটে কার কাটে দণ্ড। কাহার ধনুক কাটে কার কাটে মুণ্ড॥ কার হস্ত পদ কাটে কার কাটে স্কন্ধ। ঘােরতর সমরেতে নাচয়ে কবন্ধ॥ সৈন্যের বিনাশ দেখি ধায় বৃকোদর। ভীষ্মে মারিবারে যায় সক্রোধ অন্তর॥ গদা হস্তে ভীমসেন ধায় অতিবেগে। খেদাড়িয়া নারে বীর যারে পায় আগে॥ ভীমের সাক্ষাতে আর কেহ নাহি রয়। ভীষ্মের সারথি মারি নিল যমালয়॥ ধনুক ধরিয়া হাতে ভীষ্ম মহামতি। ভীমের উপরে বাণ এড়ে শীঘ্রগতি॥ গদা ফিরাইয়া ভীষ্ম নিবারয়ে শর। এক ঘায়ে রথ অশ্ব নিল যমঘর॥ লম্ফ দিয়া ভীষ্ম বীর চড়ে অন্য রথে। অস্ত্র বৃষ্টি করে মহাপণ্ডিত রণেতে॥ নারায়ণ দেখি রথ চালান ঝটিতি। ভীষ্মের সম্মুখে রথ রাখেন শ্রীপতি॥ অন্তরীক্ষে অর্জ্জুন কাটেন সব বাণ। দেখি ক্রুদ্ধ হৈল ভীষ্ম অগ্নির সমান॥ দেখা দেখি দুই জনে বাধে ঘাের রণ। চমকিত হয়ে দেখে যত দেবগণ॥ ভীম মহাক্রোধে সৈন্য করিল সংহার। যারে পায় তারে মারে না করে বিচার॥ যেন ইন্দ্র বজ্রহস্তে ভাঙ্গে গিরিবর। গদাঘাতে মারে বড় বড় গজবর॥ পর্ব্বতের চূড়া যেন ভাঙ্গি পড়ে ঝড়ে। তেমত কৌ-