পাতা:মহাভারতীয় বৃহৎ ভীষ্মপর্ব্ব - কাশীরাম দাস.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
বৃহৎ।

করিয়া প্রাণপণ॥ দোঁহে মহাবীর্য্যবন্ত সমান সাহস। ধনু এড়ি খড়্গ নিল দারুণ রাক্ষস॥ তাহা দেখি ইলাবন্ত খড়্গ লয়ে ধায়। মহাবেগে মারে অলম্বুষের মাথায়॥ খড়্গাঘাতে কম্পমান হইল রাক্ষস। ইলাবন্তে মারে খড়্গ করিয়া সাহস॥ দোঁহে দোঁহা পুনঃ২ করয়ে ঘাতন। অপূর্ব্ব রাক্ষসী মায়া করিল রচন॥ রণভূমি ছাড়ি শূন্যে উঠে শীঘ্রতর। ক্ষণে লম্ফ দিয়া আইসে সমর ভিতর॥ ইলাবন্ত মহাবীর দেখা নাহি পায়। বিদ্যুতের মত বীর মেঘেতে লুকায়॥ তাহা দেখি রাক্ষস আইল মহাকোপে॥ ইলাবন্ত বীর তাকে ধরে একলাফে॥ সন্ধান করিয়া খড়্গ করিল প্রহার। দারুণ রাক্ষস তাহে নহিল সংহার॥ লাফ দিয়া উঠে বীর খড়্গ লয়ে করে। খড়্গের প্রহার করে ইলাবন্ত শিরে॥ দারুণ প্রহারে বীর হইল দুর্ব্বল। অলম্বুষ রাক্ষস হাসিল খল খল॥ খড়্গ দিয়া রাক্ষস কাটিল তার শির। ভূমিতলে পড়ে ইলাবন্ত মহাবীর॥ ইলাবন্ত পড়িল উঠিল কোলাহল। ক্রুদ্ধ হয়ে আইল ঘটোৎকচ মহাবল॥ সহদেব নকুল দ্রুপদ মহাশয়। অভিমন্যু ভীমসেন সাত্যকি দুর্জ্জয়॥ অস্ত্র বরিষয় সবে অতি ক্রোধ মনে। ভঙ্গ দিল কুরুসৈন্য স্থির নহে রণে॥ দ্রোণ কৃপ অশ্বথামা ভগদত্ত বীর। পাণ্ডব সম্মুখে আর কেহ নহে স্থির॥ মহাক্রুদ্ধ ভীমসেন কৃতান্ত সমান। ধতরাষ্ট্র পুত্ত্রগণে দেখি বিদ্যমান॥ গদা লয়ে মহাবেগে ধায় বৃকোদর। দণ্ড হস্তে যম যেন প্রবেশে সমর॥ তাহা দেখি দ্রোণ গুরু সমরে দুর্জ্জয়। ভীমের উপরে অস্ত্র ঘন বরিষয়॥ বৃক্ষ যেন বৃষ্টিজল মাথা পাতি ধরে। তাদৃশ সম্বরে অস্ত্র বীর বৃকোদরে॥ পশু মধ্যে ব্যাঘ্র যেন মহকুতূহলে। গদাঘাতে মারে বীর কৌরবের দলে॥ ভীমের সমরে আর কেহ নহে স্থির। ভঙ্গ দিল বড় বড় রথী মহাবীর॥ পুত্রের নিধন শুনি মহাক্রুদ্ধ মন। অর্জ্জুন করেন ঘোর অস্ত্র বরিষণ॥ সহস্র সহস্র বাণ করেন প্রহার। অর্দ্ধপথে কাটে তাহা গঙ্গার কুমার॥ অগ্নিবাণ ছাড়িলেন পার্থ ধনুর্দ্ধর। শূন্যপথ রুদ্ধ করি বর্ষে